ঢাকা ১২:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজার ওপর ‘অনৈতিক যুদ্ধ’ বন্ধে ১২০০ ইসরায়েলি সেনা অফিসারের বিদ্রোহ!

এবার গাজার ওপর ইসরায়েলের সামরিক অভিযানকে ‘অনৈতিক’ আখ্যা দিয়ে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির সেনাবাহিনীর শত শত সক্রিয় ও রিজার্ভ অফিসার। ইসরায়েলি দৈনিক Haaretz-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের প্রায় ১২০০ সক্রিয় ও সাবেক অফিসার একটি খোলা চিঠিতে যুদ্ধ থামাতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।

চিঠিতে তারা বলেছেন, “আমরা, সাবেক ও বর্তমান রিজার্ভ অফিসার ও কমান্ডাররা, গাজায় চলমান রাজনৈতিক যুদ্ধ বন্ধ করতে এবং সব জিম্মির নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।”

তারা আরও বলেন, “এই যুদ্ধ ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তাকে সেবা দেয় না, বরং এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য।” চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, “এই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া জনগণের বৃহৎ অংশের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যাচ্ছে। এতে জিম্মি, ইসরায়েলি সেনা ও নিরপরাধ বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারাবে। এমনকি যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের সম্ভাবনাও রয়েছে।”

এই অভ্যন্তরীণ চাপ ইসরায়েলি সরকারের জন্য এক নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা, এতদিন যুদ্ধের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো, এবার সেই একই কণ্ঠস্বর উঠছে নিজেদের সেনাবাহিনীর ভেতর থেকেই।

জনপ্রিয় সংবাদ

লাশের রাজনীতি করছেন ড. ইউনূস” — বিমানে ট্র্যাজেডি নিয়ে তীব্র সমালোচনায় ড. নীলিমা

গাজার ওপর ‘অনৈতিক যুদ্ধ’ বন্ধে ১২০০ ইসরায়েলি সেনা অফিসারের বিদ্রোহ!

আপডেট সময় ১২:১৯:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

এবার গাজার ওপর ইসরায়েলের সামরিক অভিযানকে ‘অনৈতিক’ আখ্যা দিয়ে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির সেনাবাহিনীর শত শত সক্রিয় ও রিজার্ভ অফিসার। ইসরায়েলি দৈনিক Haaretz-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের প্রায় ১২০০ সক্রিয় ও সাবেক অফিসার একটি খোলা চিঠিতে যুদ্ধ থামাতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।

চিঠিতে তারা বলেছেন, “আমরা, সাবেক ও বর্তমান রিজার্ভ অফিসার ও কমান্ডাররা, গাজায় চলমান রাজনৈতিক যুদ্ধ বন্ধ করতে এবং সব জিম্মির নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।”

তারা আরও বলেন, “এই যুদ্ধ ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তাকে সেবা দেয় না, বরং এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য।” চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, “এই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া জনগণের বৃহৎ অংশের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যাচ্ছে। এতে জিম্মি, ইসরায়েলি সেনা ও নিরপরাধ বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারাবে। এমনকি যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের সম্ভাবনাও রয়েছে।”

এই অভ্যন্তরীণ চাপ ইসরায়েলি সরকারের জন্য এক নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা, এতদিন যুদ্ধের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো, এবার সেই একই কণ্ঠস্বর উঠছে নিজেদের সেনাবাহিনীর ভেতর থেকেই।