ঢাকা ০৫:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উপদেষ্টা বলেছেন আমাকে ‘কন্টিনিউ’ করাতে চান না: বিসিবি সভাপতি ফারুক

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১২:১২:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
  • ৬০৭ বার পড়া হয়েছে

কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নেতৃত্বে পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। ফারুক আহমেদের জায়গায় সভাপতি পদে সরকার অন্য কাউকে বসাতে চায় বলে যে গুঞ্জন ছিল, সেটিও সত্যি হওয়ার পথে। বুধবার রাতে ফারুককে ডেকে নিয়ে নিজেদের সে ইচ্ছার কথাই জানিয়ে দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

তবে তাঁকে পদত্যাগের কথা সরাসরি বলা হয়নি বলে জানিয়েছেন গত বছরের ২১ আগস্ট যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে সভাপতি হওয়া ফারুক। তবে যেভাবে বলা হয়েছে, তাতে পদত্যাগের বার্তাই স্পষ্ট, “উপদেষ্টা কিন্তু আমাকে পদত্যাগ করতে বলেননি। শুধু বলেছেন, আমাকে আর তাঁরা ‘কন্টিনিউ’ করাতে চান না।’ এই অবস্থায় তিনি কী করবেন, জানতে চাওয়া হলে বিসিবি সভাপতি বলেছেন, ‘এখনই এ বিষয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না। দেখা যাক, কী হয়।’

এদিকে ক্রীড়া উপদেষ্টা আর ফারুকের এমন মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টি বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য বিপদই ডেকে আনতে পারে। কারণ ক্রিকেট প্রশাসনে সরকারি হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বরাবরই সোচ্চার বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। এ ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি তাঁদের। সরকারি হস্তক্ষেপের জন্য শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের নিষিদ্ধ হওয়ার ঘটনা নিকট অতীতেই আছে।

ফারুককে সরিয়ে দেওয়া হলে বাংলাদেশের ওপরও নেমে আসতে পারে নিষেধাজ্ঞার খড়গ। আবার ফারুক পদত্যাগ করলেও প্রমাণ করা মুশকিল যে এই সিদ্ধান্ত সরকারি প্রভাবমুক্ত নয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিমানে ত্রাণ পৌঁছল গাজায়, মানবিক সংকট এখনও কমেনি

উপদেষ্টা বলেছেন আমাকে ‘কন্টিনিউ’ করাতে চান না: বিসিবি সভাপতি ফারুক

আপডেট সময় ১২:১২:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নেতৃত্বে পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। ফারুক আহমেদের জায়গায় সভাপতি পদে সরকার অন্য কাউকে বসাতে চায় বলে যে গুঞ্জন ছিল, সেটিও সত্যি হওয়ার পথে। বুধবার রাতে ফারুককে ডেকে নিয়ে নিজেদের সে ইচ্ছার কথাই জানিয়ে দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

তবে তাঁকে পদত্যাগের কথা সরাসরি বলা হয়নি বলে জানিয়েছেন গত বছরের ২১ আগস্ট যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে সভাপতি হওয়া ফারুক। তবে যেভাবে বলা হয়েছে, তাতে পদত্যাগের বার্তাই স্পষ্ট, “উপদেষ্টা কিন্তু আমাকে পদত্যাগ করতে বলেননি। শুধু বলেছেন, আমাকে আর তাঁরা ‘কন্টিনিউ’ করাতে চান না।’ এই অবস্থায় তিনি কী করবেন, জানতে চাওয়া হলে বিসিবি সভাপতি বলেছেন, ‘এখনই এ বিষয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না। দেখা যাক, কী হয়।’

এদিকে ক্রীড়া উপদেষ্টা আর ফারুকের এমন মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টি বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য বিপদই ডেকে আনতে পারে। কারণ ক্রিকেট প্রশাসনে সরকারি হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বরাবরই সোচ্চার বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। এ ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি তাঁদের। সরকারি হস্তক্ষেপের জন্য শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের নিষিদ্ধ হওয়ার ঘটনা নিকট অতীতেই আছে।

ফারুককে সরিয়ে দেওয়া হলে বাংলাদেশের ওপরও নেমে আসতে পারে নিষেধাজ্ঞার খড়গ। আবার ফারুক পদত্যাগ করলেও প্রমাণ করা মুশকিল যে এই সিদ্ধান্ত সরকারি প্রভাবমুক্ত নয়।