ঢাকা ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সানার বিমানবন্দরে হজ ফ্লাইটে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: হজযাত্রায় বড় বিপর্যয় ইয়েমেনে

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:২৬:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
  • ৫৬৬ বার পড়া হয়েছে

ইয়েমেনের রাজধানী সানার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হজযাত্রী বহনকারী যাত্রীবাহী বিমানে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বুধবার (২৮ মে) ভোরে চালানো এই হামলায় বিমানবন্দরের রানওয়েতে দাঁড়িয়ে থাকা ইয়েমেনিয়া এয়ারলাইন্সের একাধিক হজ ফ্লাইট সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।

হুতি নিয়ন্ত্রিত সম্প্রচারমাধ্যম ‘আল মাসিরা’ জানায়, ইসরায়েলি বাহিনী চারটি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সানা বিমানবন্দরে হামলা চালায়। এতে হজযাত্রী পরিবহনের জন্য প্রস্তুত থাকা বেসামরিক বিমানগুলো সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়। ফলে চলতি বছর হজে অংশ নিতে আগ্রহী হাজার হাজার ইয়েমেনি নাগরিক চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন।

সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মহাপরিচালক খালেদ আল সাইফ এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে জানান, ইসরায়েলি হামলায় হজ ফ্লাইটগুলো সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। তিনি বলেন, “এটি শুধু একটি অবকাঠামোগত ক্ষতি নয়, এটি আমাদের ধর্মীয় অধিকারকে লঙ্ঘনের একটি নিকৃষ্ট উদাহরণ।”

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্ট দাবি করেছেন, “আমরা হুতিদের অবস্থানে নির্ভুল হামলা চালিয়েছি এবং শেষ বিমানটিও ধ্বংস করে দিয়েছি।” অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বিনিয়ামিন নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “যারা ইসরায়েলের ক্ষতির কারণ হবে, তাদের ধুলিসাৎ করে দেওয়া হবে।”

এ ঘটনায় হুতিদের শীর্ষনেতা আব্দুল মালিক আল হুতি তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “বিমান হামলা চালিয়ে আমাদের হজযাত্রীদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। এটি ইসরায়েলি আগ্রাসনের একটি নতুন উদাহরণ হলেও আমাদের ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থন এত সহজে দমে যাবে না। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় শত্রুদের এ প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হবে।”

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই হামলা কেবল ধর্মীয়ভাবে নয়, অর্থনৈতিক দিক থেকেও হুতিদের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়াবে। হজ প্রস্তুতির পুরো প্রক্রিয়া ভেঙে পড়ায় তারা অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।

উল্লেখ্য, চলতি বছর ইসরায়েল ইয়েমেনের একাধিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এই হামলা সবচেয়ে ভয়াবহ ও তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে ৫টি পেট্রোল বোট দেবে জাপান, মহেশখালী-মাতারবাড়িকে ‘নিউ সিঙ্গাপুর’ হিসেবে গড়ার পরিকল্পনা

সানার বিমানবন্দরে হজ ফ্লাইটে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: হজযাত্রায় বড় বিপর্যয় ইয়েমেনে

আপডেট সময় ০৯:২৬:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

ইয়েমেনের রাজধানী সানার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হজযাত্রী বহনকারী যাত্রীবাহী বিমানে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বুধবার (২৮ মে) ভোরে চালানো এই হামলায় বিমানবন্দরের রানওয়েতে দাঁড়িয়ে থাকা ইয়েমেনিয়া এয়ারলাইন্সের একাধিক হজ ফ্লাইট সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।

হুতি নিয়ন্ত্রিত সম্প্রচারমাধ্যম ‘আল মাসিরা’ জানায়, ইসরায়েলি বাহিনী চারটি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সানা বিমানবন্দরে হামলা চালায়। এতে হজযাত্রী পরিবহনের জন্য প্রস্তুত থাকা বেসামরিক বিমানগুলো সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়। ফলে চলতি বছর হজে অংশ নিতে আগ্রহী হাজার হাজার ইয়েমেনি নাগরিক চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন।

সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মহাপরিচালক খালেদ আল সাইফ এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে জানান, ইসরায়েলি হামলায় হজ ফ্লাইটগুলো সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। তিনি বলেন, “এটি শুধু একটি অবকাঠামোগত ক্ষতি নয়, এটি আমাদের ধর্মীয় অধিকারকে লঙ্ঘনের একটি নিকৃষ্ট উদাহরণ।”

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্ট দাবি করেছেন, “আমরা হুতিদের অবস্থানে নির্ভুল হামলা চালিয়েছি এবং শেষ বিমানটিও ধ্বংস করে দিয়েছি।” অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বিনিয়ামিন নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “যারা ইসরায়েলের ক্ষতির কারণ হবে, তাদের ধুলিসাৎ করে দেওয়া হবে।”

এ ঘটনায় হুতিদের শীর্ষনেতা আব্দুল মালিক আল হুতি তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “বিমান হামলা চালিয়ে আমাদের হজযাত্রীদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। এটি ইসরায়েলি আগ্রাসনের একটি নতুন উদাহরণ হলেও আমাদের ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থন এত সহজে দমে যাবে না। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় শত্রুদের এ প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হবে।”

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই হামলা কেবল ধর্মীয়ভাবে নয়, অর্থনৈতিক দিক থেকেও হুতিদের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়াবে। হজ প্রস্তুতির পুরো প্রক্রিয়া ভেঙে পড়ায় তারা অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।

উল্লেখ্য, চলতি বছর ইসরায়েল ইয়েমেনের একাধিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এই হামলা সবচেয়ে ভয়াবহ ও তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।