ঢাকা ০৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পটুয়াখালীর ‘টয়লেট নাঈম’ আটক: ছাত্রদলের হাতে ধরা পড়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ

পটুয়াখালীর দুমকিতে বহুল আলোচিত ও সমালোচিত ছাত্রলীগ নেতা নাঈম ওরফে “টয়লেট নাঈম”–কে জনতার সহায়তায় আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে উপজেলা ছাত্রদল। শুক্রবার (৭ জুন) বিকেলে লেবুখালি পায়রা সেতু সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে ধাওয়া করে আটক করা হয়।

নাঈম পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং দুমকি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা হারুন অর রশিদের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) হিসেবেও কাজ করতেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নাঈমকে সেতু এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাকে ধাওয়া করে ধরে ফেলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুমকি উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সুমন শরীফ ও স্থানীয় বহু ছাত্র ও সাধারণ মানুষ।

একজন স্থানীয় বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “নাঈম টয়লেট আর টিউবওয়েলের টাকাও আত্মসাৎ করেছে! এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কী হতে পারে? এরকম লোকদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা উচিত।”

ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “আওয়ামী দোসররা দুমকিকে একপ্রকার লুটপাটের জোনে পরিণত করেছে। ‘টয়লেট নাঈম’ তার বড় প্রমাণ। আমরা তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছি—অপরাধী যেই হোক, ছাড় নেই।”

নাঈমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিনের জাল স্বাক্ষর ব্যবহার করে সরকারি বরাদ্দ উত্তোলনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে।

দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, “আটক ব্যক্তিকে থানায় হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

 

জনপ্রিয় সংবাদ

পটুয়াখালীর ‘টয়লেট নাঈম’ আটক: ছাত্রদলের হাতে ধরা পড়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ

আপডেট সময় ০৩:৩৪:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জুন ২০২৫

পটুয়াখালীর দুমকিতে বহুল আলোচিত ও সমালোচিত ছাত্রলীগ নেতা নাঈম ওরফে “টয়লেট নাঈম”–কে জনতার সহায়তায় আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে উপজেলা ছাত্রদল। শুক্রবার (৭ জুন) বিকেলে লেবুখালি পায়রা সেতু সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে ধাওয়া করে আটক করা হয়।

নাঈম পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং দুমকি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা হারুন অর রশিদের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) হিসেবেও কাজ করতেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নাঈমকে সেতু এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাকে ধাওয়া করে ধরে ফেলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুমকি উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সুমন শরীফ ও স্থানীয় বহু ছাত্র ও সাধারণ মানুষ।

একজন স্থানীয় বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “নাঈম টয়লেট আর টিউবওয়েলের টাকাও আত্মসাৎ করেছে! এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কী হতে পারে? এরকম লোকদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা উচিত।”

ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “আওয়ামী দোসররা দুমকিকে একপ্রকার লুটপাটের জোনে পরিণত করেছে। ‘টয়লেট নাঈম’ তার বড় প্রমাণ। আমরা তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছি—অপরাধী যেই হোক, ছাড় নেই।”

নাঈমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিনের জাল স্বাক্ষর ব্যবহার করে সরকারি বরাদ্দ উত্তোলনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে।

দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, “আটক ব্যক্তিকে থানায় হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”