ঢাকা ০৭:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরানের হামলায় কাঁপছে নেতানিয়াহুর দেশ, ‘হৃদপিণ্ডে’ আঘাত বলছেন ইসরায়েলি বিশ্লেষক

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৬:৪৬:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
  • ৫৫৯ বার পড়া হয়েছে

এবার ইরানের সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কার্যত কাঁপছে গোটা ইসরায়েল। দেশটির রাজনৈতিক বিশ্লেষক ওরি গোল্ডবার্গের ভাষায়, এই হামলা হয়েছে “ইসরায়েলের হৃদয়ে।” তিনি মনে করেন, ইসরায়েল কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসছিল বলে যে ধারণা ছিল, ইরান তা একদম উড়িয়ে দিয়েছে।

এদিকে তেল আবিব থেকে আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ওরি বলেন, “পুরো ইসরায়েলজুড়েই ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। তবে সরকার এখন দক্ষিণাঞ্চলের সোরাকা হাসপাতালকে ঘিরেই সবচেয়ে বেশি প্রচার চালাচ্ছে। মূলত ইরান হাসপাতালকে লক্ষ্য করেই হামলা চালিয়েছে -এমন বার্তা দিতেই এই কৌশল অবলম্বন করছে নেতানিয়াহু সরকার।”

তিনি বলেন, “অবশ্যই, ইসরায়েলিরাও হাসপাতালগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। এটা উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে হাসপাতালের খুব কাছেই খুব সংবেদনশীল স্থাপনা এবং সদর দপ্তর রয়েছে। কারণ ইসরায়েল বেসামরিক এলাকা এবং শহরের মাঝখানে তার সামরিক সদর দপ্তর স্থাপন করে।”

গোল্ডবার্গ ব্যাখ্যা করেছেন যে, হামলা সম্পর্কে তথ্যও সহজে পাওয়া যায় না। গোল্ডবার্গ বলেন, আপনাকে মনে রাখতে হবে যে আল জাজিরাকে ইসরায়েলে ঢুকতে দেয়া হয় না, তেমনই হামলার ছবিগুলো সাধারণ নাগরিকদের থেকে দূরে রাখা হয়। ইসরায়েলি নাগরিকরা আমাদের সরকারি মিডিয়াতেও খুব বেশি কিছু দেখতে পায় না।

এই বিশ্লেষক বলেন, আমরা কঠোর সেন্সরশিপের অধীনেও কাজ করি, তাই মূলত গুজব এবং প্রতিবেদন ধীরে ধীরে প্রকাশিত হচ্ছে। তবে এটা স্পষ্ট যে ইরানিরা গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ স্থানে আঘাত করেছে এবং আঘাত করেছে।

মূলত বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে নতুন করে ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলা চলায় ইরান, এতে দেশটির অন্তত চারটি জায়গায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইসরায়েলের সোরোকা হাসপাতালও রয়েছে। হামলায় এখন পর্যন্ত ইসরায়েলজুড়ে ৬৫ জন আহত হয়েছেন। এই হামলাকে সংঘাত শুরুর পর ইরান থেকে সবচেয়ে বড় হামলা বলে দাবি করা হচ্ছে।

এই হামলার কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে করা এক পোস্টে তিনি বলেছেন, “আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে, ইরানের অত্যাচারীরা বিরশেবার সোরোকা হাসপাতালে এবং মধ্যাঞ্চলে সাধারণ মানুষের উপর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। আমরা তেহরানের অত্যাচারীদের থেকে এর পুরো মূল্য আদায় করব।”

ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ বলেন, “নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে একটি শিশু, তাদের শয্যার পাশে একজন মা। বিছানার মধ্যে ছুটে বেড়াচ্ছেন একজন চিকিৎসক, একটি নার্সিং হোমে একজন বয়স্ক বাসিন্দা। সকালে ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল এগুলো।” সূত্র : আল জাজিরা

জনপ্রিয় সংবাদ

ওমরাহ করতে গিয়ে সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৭ জনের মৃত্যু

ইরানের হামলায় কাঁপছে নেতানিয়াহুর দেশ, ‘হৃদপিণ্ডে’ আঘাত বলছেন ইসরায়েলি বিশ্লেষক

আপডেট সময় ০৬:৪৬:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

এবার ইরানের সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কার্যত কাঁপছে গোটা ইসরায়েল। দেশটির রাজনৈতিক বিশ্লেষক ওরি গোল্ডবার্গের ভাষায়, এই হামলা হয়েছে “ইসরায়েলের হৃদয়ে।” তিনি মনে করেন, ইসরায়েল কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসছিল বলে যে ধারণা ছিল, ইরান তা একদম উড়িয়ে দিয়েছে।

এদিকে তেল আবিব থেকে আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ওরি বলেন, “পুরো ইসরায়েলজুড়েই ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। তবে সরকার এখন দক্ষিণাঞ্চলের সোরাকা হাসপাতালকে ঘিরেই সবচেয়ে বেশি প্রচার চালাচ্ছে। মূলত ইরান হাসপাতালকে লক্ষ্য করেই হামলা চালিয়েছে -এমন বার্তা দিতেই এই কৌশল অবলম্বন করছে নেতানিয়াহু সরকার।”

তিনি বলেন, “অবশ্যই, ইসরায়েলিরাও হাসপাতালগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। এটা উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে হাসপাতালের খুব কাছেই খুব সংবেদনশীল স্থাপনা এবং সদর দপ্তর রয়েছে। কারণ ইসরায়েল বেসামরিক এলাকা এবং শহরের মাঝখানে তার সামরিক সদর দপ্তর স্থাপন করে।”

গোল্ডবার্গ ব্যাখ্যা করেছেন যে, হামলা সম্পর্কে তথ্যও সহজে পাওয়া যায় না। গোল্ডবার্গ বলেন, আপনাকে মনে রাখতে হবে যে আল জাজিরাকে ইসরায়েলে ঢুকতে দেয়া হয় না, তেমনই হামলার ছবিগুলো সাধারণ নাগরিকদের থেকে দূরে রাখা হয়। ইসরায়েলি নাগরিকরা আমাদের সরকারি মিডিয়াতেও খুব বেশি কিছু দেখতে পায় না।

এই বিশ্লেষক বলেন, আমরা কঠোর সেন্সরশিপের অধীনেও কাজ করি, তাই মূলত গুজব এবং প্রতিবেদন ধীরে ধীরে প্রকাশিত হচ্ছে। তবে এটা স্পষ্ট যে ইরানিরা গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ স্থানে আঘাত করেছে এবং আঘাত করেছে।

মূলত বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে নতুন করে ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলা চলায় ইরান, এতে দেশটির অন্তত চারটি জায়গায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইসরায়েলের সোরোকা হাসপাতালও রয়েছে। হামলায় এখন পর্যন্ত ইসরায়েলজুড়ে ৬৫ জন আহত হয়েছেন। এই হামলাকে সংঘাত শুরুর পর ইরান থেকে সবচেয়ে বড় হামলা বলে দাবি করা হচ্ছে।

এই হামলার কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে করা এক পোস্টে তিনি বলেছেন, “আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে, ইরানের অত্যাচারীরা বিরশেবার সোরোকা হাসপাতালে এবং মধ্যাঞ্চলে সাধারণ মানুষের উপর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। আমরা তেহরানের অত্যাচারীদের থেকে এর পুরো মূল্য আদায় করব।”

ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ বলেন, “নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে একটি শিশু, তাদের শয্যার পাশে একজন মা। বিছানার মধ্যে ছুটে বেড়াচ্ছেন একজন চিকিৎসক, একটি নার্সিং হোমে একজন বয়স্ক বাসিন্দা। সকালে ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল এগুলো।” সূত্র : আল জাজিরা