ঢাকা ০৫:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরানের হামলায় ইসরায়েলের হার্মেস-৯০০ ড্রোন ভূপাতিত

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১১:০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
  • ৫১৭ বার পড়া হয়েছে

এবার ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী ইসরায়েলের একটি হার্মেস-৯০০ ড্রোন ভূপাতিত করেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম আইআরআইবি জানিয়েছে, ইরানের মধ্যাঞ্চলে ড্রোনটি ভূপাতিত করা হয়েছে। রোববার (২২ জুন) রাতে ইসরায়েল জানায়, তারা ইরানে নতুন করে বিমান হামলা চালিয়েছে।

দাবি করা হয়, তেহরানের একটি গ্রাউন্ড টু এয়ার মিসাইল লঞ্চার ছিল তাদের মূল লক্ষ্য। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আরও জানায়, হামলা শেষে তাদের বিমান নিরাপদে ফিরে এসেছে। তবে ইরান কিছু সময় পরেই জানায়, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় একটি ড্রোন শনাক্ত করে ভূপাতিত করা হয়েছে। এটি ছিল অত্যাধুনিক হার্মেস-৯০০, যেটি নজরদারি ও আক্রমণ দুটোর জন্যই ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

ইরানের দাবি অনুযায়ী, ইসরায়েল ভূপাতিত হওয়ার বিষয়টি চেপে গেছে। গত ১৩ জুন থেকে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে দফায় দফায় হামলা চলছে। এরমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু স্থাপনা — ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহানে হামলা চালায়।

হামলার বিষয়ে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে পূর্বেই সমন্বয় ছিল। ইসরায়েলি বিমান ও মিসাইল ইউনিটও ইরানে পৃথকভাবে হামলা চালিয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক বাংকার লক্ষ্য করে বাংকার বাস্টার বোমা ব্যবহার করা হয়েছে।

ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করবে না বলে জানিয়েছে দেশটির পরমাণু সংস্থা। ফোরদো থেকে গুরুত্বপূর্ণ ইউরেনিয়াম সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় গণমাধ্যম। জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থা জানায়, হামলার পর ওইসব স্থাপনা থেকে আশপাশে বিকিরণের মাত্রা বাড়েনি বলে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। সূত্র: আলজাজিরা

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা চায় স্পেন

ইরানের হামলায় ইসরায়েলের হার্মেস-৯০০ ড্রোন ভূপাতিত

আপডেট সময় ১১:০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

এবার ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী ইসরায়েলের একটি হার্মেস-৯০০ ড্রোন ভূপাতিত করেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম আইআরআইবি জানিয়েছে, ইরানের মধ্যাঞ্চলে ড্রোনটি ভূপাতিত করা হয়েছে। রোববার (২২ জুন) রাতে ইসরায়েল জানায়, তারা ইরানে নতুন করে বিমান হামলা চালিয়েছে।

দাবি করা হয়, তেহরানের একটি গ্রাউন্ড টু এয়ার মিসাইল লঞ্চার ছিল তাদের মূল লক্ষ্য। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আরও জানায়, হামলা শেষে তাদের বিমান নিরাপদে ফিরে এসেছে। তবে ইরান কিছু সময় পরেই জানায়, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় একটি ড্রোন শনাক্ত করে ভূপাতিত করা হয়েছে। এটি ছিল অত্যাধুনিক হার্মেস-৯০০, যেটি নজরদারি ও আক্রমণ দুটোর জন্যই ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

ইরানের দাবি অনুযায়ী, ইসরায়েল ভূপাতিত হওয়ার বিষয়টি চেপে গেছে। গত ১৩ জুন থেকে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে দফায় দফায় হামলা চলছে। এরমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু স্থাপনা — ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহানে হামলা চালায়।

হামলার বিষয়ে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে পূর্বেই সমন্বয় ছিল। ইসরায়েলি বিমান ও মিসাইল ইউনিটও ইরানে পৃথকভাবে হামলা চালিয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক বাংকার লক্ষ্য করে বাংকার বাস্টার বোমা ব্যবহার করা হয়েছে।

ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করবে না বলে জানিয়েছে দেশটির পরমাণু সংস্থা। ফোরদো থেকে গুরুত্বপূর্ণ ইউরেনিয়াম সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় গণমাধ্যম। জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থা জানায়, হামলার পর ওইসব স্থাপনা থেকে আশপাশে বিকিরণের মাত্রা বাড়েনি বলে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। সূত্র: আলজাজিরা