ঢাকা ০৩:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গুম-খুনের বিচার না হওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়লেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:০২:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
  • ৫৩৫ বার পড়া হয়েছে

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গুম ও খুনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার না হওয়ায় গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর সদস্যরা। তারা বলেন, বছরের পর বছর ধরে স্বজনদের ছবি বুকে নিয়ে ঘুরেও তারা বিচার পাননি, বরং পেয়েছেন উপেক্ষা ও অবহেলা। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক পরামর্শ সভায় তারা এসব বক্তব্য তুলে ধরেন।

‘ন্যাশনাল কনসালটেশন মিটিং অন রিহ্যাবিলিটেশন, জাস্টিস অ্যান্ড কম্পেনসেশন ফর দ্য সার্ভাইভার্স অব টর্চার’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে মায়ের ডাক ফাউন্ডেশন, মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্র ও ছওয়াব। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছওয়াবের সিইও ও চেয়ারম্যান এস এম রাশেদুজ্জামান।

সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহাদি আমিন বলেন, বিগত দিনে হয়তো বিএনপি যথাযথভাবে পাশে দাঁড়াতে পারেনি, তবে ভবিষ্যতে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হেফাজতে নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করবে এবং এসব ঘটনার বিচার করবে।

এবি পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, সাবেক সিইসি নুরুল হুদার জন্য যেভাবে মিডিয়ায় সহানুভূতি দেখানো হচ্ছে, গুম হওয়া পরিবারগুলোর জন্য তা কখনোই দেখা যায়নি। গণমাধ্যমে তাদের জন্য কোনো আলোচনা নেই—এটাই একটি ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রের চিত্র।

মানবাধিকার সংগঠক রেজাউর রহমান লেলিন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, হাসিনা সরকারের আমলে গুম-খুনের শিকার হয়েছেন ১০ হাজারের বেশি মানুষ। আজও সেই পরিবারগুলো মানসিক ট্রমায় ভুগছে, তাদের ভুলে গেলে চলবে না।

মায়ের ডাকের সাধারণ সম্পাদক সানজিদা ইসলাম তুলি বলেন, গত ১২ বছরে যারা আমাদের পাশে ছিলেন, তাদের প্রায় সবাই স্বজন হারিয়েছেন। ৫ আগস্টের পর যেসব মানুষ আর ফিরে আসেনি, তাদের জন্য আমরা আজও অপেক্ষায়। ফ্যাসিবাদ পতন হলেও দোসররা এখনো সক্রিয়—তাদের বিচারের আওতায় না আনা পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে।

সভায় আয়নাঘর পরিদর্শনের সুযোগ না দেওয়ার বিষয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। বক্তারা বলেন, রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের স্মারকস্থল আয়নাঘরে ভুক্তভোগীদের প্রবেশের অনুমতি না দিয়ে তাদের যন্ত্রণাকে অবজ্ঞা করা হচ্ছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ওমরাহ করতে গিয়ে সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৭ জনের মৃত্যু

গুম-খুনের বিচার না হওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়লেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো

আপডেট সময় ০৯:০২:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গুম ও খুনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার না হওয়ায় গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর সদস্যরা। তারা বলেন, বছরের পর বছর ধরে স্বজনদের ছবি বুকে নিয়ে ঘুরেও তারা বিচার পাননি, বরং পেয়েছেন উপেক্ষা ও অবহেলা। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক পরামর্শ সভায় তারা এসব বক্তব্য তুলে ধরেন।

‘ন্যাশনাল কনসালটেশন মিটিং অন রিহ্যাবিলিটেশন, জাস্টিস অ্যান্ড কম্পেনসেশন ফর দ্য সার্ভাইভার্স অব টর্চার’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে মায়ের ডাক ফাউন্ডেশন, মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্র ও ছওয়াব। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছওয়াবের সিইও ও চেয়ারম্যান এস এম রাশেদুজ্জামান।

সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহাদি আমিন বলেন, বিগত দিনে হয়তো বিএনপি যথাযথভাবে পাশে দাঁড়াতে পারেনি, তবে ভবিষ্যতে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হেফাজতে নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করবে এবং এসব ঘটনার বিচার করবে।

এবি পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, সাবেক সিইসি নুরুল হুদার জন্য যেভাবে মিডিয়ায় সহানুভূতি দেখানো হচ্ছে, গুম হওয়া পরিবারগুলোর জন্য তা কখনোই দেখা যায়নি। গণমাধ্যমে তাদের জন্য কোনো আলোচনা নেই—এটাই একটি ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রের চিত্র।

মানবাধিকার সংগঠক রেজাউর রহমান লেলিন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, হাসিনা সরকারের আমলে গুম-খুনের শিকার হয়েছেন ১০ হাজারের বেশি মানুষ। আজও সেই পরিবারগুলো মানসিক ট্রমায় ভুগছে, তাদের ভুলে গেলে চলবে না।

মায়ের ডাকের সাধারণ সম্পাদক সানজিদা ইসলাম তুলি বলেন, গত ১২ বছরে যারা আমাদের পাশে ছিলেন, তাদের প্রায় সবাই স্বজন হারিয়েছেন। ৫ আগস্টের পর যেসব মানুষ আর ফিরে আসেনি, তাদের জন্য আমরা আজও অপেক্ষায়। ফ্যাসিবাদ পতন হলেও দোসররা এখনো সক্রিয়—তাদের বিচারের আওতায় না আনা পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে।

সভায় আয়নাঘর পরিদর্শনের সুযোগ না দেওয়ার বিষয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। বক্তারা বলেন, রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের স্মারকস্থল আয়নাঘরে ভুক্তভোগীদের প্রবেশের অনুমতি না দিয়ে তাদের যন্ত্রণাকে অবজ্ঞা করা হচ্ছে।