১২ দিনের ভয়াবহ সংঘাতের পর প্রথমবারের মতো সরাসরি আলোচনায় বসতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান। এক্সিওজকে উদ্ধৃত করে আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, এই বহুল প্রতীক্ষিত বৈঠক আগামী সপ্তাহে ইউরোপের নরওয়েতে অনুষ্ঠিত হতে পারে। মূল আলোচ্য ইস্যু—পারমাণবিক কর্মসূচি এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা প্রশমনের পথ খোঁজা।
দুটি কূটনৈতিক সূত্র জানায়, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ নরওয়ের রাজধানী অসলোতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি-র সঙ্গে সাক্ষাতের পরিকল্পনা করছেন। যদিও বৈঠকের নির্দিষ্ট দিন ও সময় এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
গত ১৩ জুন ইসরায়েল সরাসরি ইরানে হামলা চালালে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মধ্যপ্রাচ্য। হামলায় নিহত হন ইরানের উচ্চপর্যায়ের সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানীরা। এরপর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনায় বোমা হামলা চালায়।
ইরান এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন এবং NPT (পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি)-এর গুরুতর লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করে আসছে। পরে ইরানি বাহিনী ইসরায়েল অধিকৃত বিভিন্ন অঞ্চল এবং কাতারে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটি আল-উদেইদ-এ পাল্টা হামলা চালায়।
এই উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ২৪ জুন ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। তাঁর পোস্ট অনুযায়ী, “ইরান প্রথমে যুদ্ধবিরতি শুরু করবে, ১২ ঘণ্টা পর ইসরায়েল এতে যোগ দেবে, এবং ২৪ ঘণ্টার মাথায় যুদ্ধ আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত বলে বিবেচিত হবে।”
তিনি আরও বলেন,“আমরা ধরে নিচ্ছি, সবকিছু শান্তিপূর্ণভাবে চলবে এবং সম্মান বজায় থাকবে।”
যদিও আলোচনার সম্ভাব্য সময় ও স্থান নিয়ে জল্পনা চলছে, হোয়াইট হাউস বলেছে, “এই মুহূর্তে আমাদের কাছে নতুন কোনো তথ্য নেই।”
অন্যদিকে, ইরানের জাতিসংঘ মিশন কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।