ঢাকা ০৩:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দিয়াবাড়ি ট্র্যাজেডি: একসাথে বিদায় নিলো দুই ভাইবোন নাদিয়া ও নাফিজ

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৮:৩৪:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫
  • ৫৩৬ বার পড়া হয়েছে

ঢাকার উত্তরা দিয়াবাড়িতে ঘটে যাওয়া হৃদয়বিদারক বিমান দুর্ঘটনায় নিভে গেল দুই নিষ্পাপ ভাইবোনের জীবনপ্রদীপ। আধুনিক শিক্ষার স্বপ্নপূরণের পথে থাকা ছাত্রী নাদিয়া (১৩) ও ভাই নাফিজ (৯)—আজ আর আমাদের মাঝে নেই।

দৌলতখানের দক্ষিণ জয়নগরের অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলামের সন্তানরা ছিল মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী। সোমবার রাতে নাদিয়া এবং মঙ্গলবার গভীর রাতে ছোট ভাই নাফিজ মারা যায় বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। দুজনের শরীরেই আগুনে দগ্ধ হয়েছিল প্রায় ৭০ শতাংশ।

এই হৃদয়বিদারক খবর ছড়িয়ে পড়ে ঢাকা থেকে ভোলা পর্যন্ত। গ্রামে নেমে আসে শোকের ছায়া। বাবামা বারবার সেন্সলেস হয়ে পড়েন, চারপাশে কান্না আর বেদনার সুর। আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী, শিক্ষক, সহপাঠীরা কেউই এ মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না।

নাদিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হয় ঢাকার কামারপাড়ায়। পরিবারের সদস্যরা নাফিজকে দেখতে হাসপাতালে গেলে শুনেন—নাফিজও পাড়ি জমিয়েছে না ফেরার দেশে। দুজনের মুখে ছিল শিক্ষা ও স্বপ্নের দীপ্তি—একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ হারিয়ে গেল অকালেই।

স্থানীয়দের প্রশ্ন—এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার দায় কার?
নিরাপত্তাহীন নগর ব্যবস্থায় বাচ্চাদের জীবন কতটা অনিরাপদ হয়ে উঠেছে?
তাদের দাবি, দ্রুত বিচার, দায়ীদের জবাবদিহি এবং কঠোর নিরাপত্তা নীতির বাস্তবায়ন—যাতে আর কোনো পরিবার এভাবে ভেঙে না পড়ে।

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশকে আলো এনে দিলেও লামিমের চোখে এখনো অন্ধকার

দিয়াবাড়ি ট্র্যাজেডি: একসাথে বিদায় নিলো দুই ভাইবোন নাদিয়া ও নাফিজ

আপডেট সময় ০৮:৩৪:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

ঢাকার উত্তরা দিয়াবাড়িতে ঘটে যাওয়া হৃদয়বিদারক বিমান দুর্ঘটনায় নিভে গেল দুই নিষ্পাপ ভাইবোনের জীবনপ্রদীপ। আধুনিক শিক্ষার স্বপ্নপূরণের পথে থাকা ছাত্রী নাদিয়া (১৩) ও ভাই নাফিজ (৯)—আজ আর আমাদের মাঝে নেই।

দৌলতখানের দক্ষিণ জয়নগরের অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলামের সন্তানরা ছিল মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী। সোমবার রাতে নাদিয়া এবং মঙ্গলবার গভীর রাতে ছোট ভাই নাফিজ মারা যায় বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। দুজনের শরীরেই আগুনে দগ্ধ হয়েছিল প্রায় ৭০ শতাংশ।

এই হৃদয়বিদারক খবর ছড়িয়ে পড়ে ঢাকা থেকে ভোলা পর্যন্ত। গ্রামে নেমে আসে শোকের ছায়া। বাবামা বারবার সেন্সলেস হয়ে পড়েন, চারপাশে কান্না আর বেদনার সুর। আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী, শিক্ষক, সহপাঠীরা কেউই এ মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না।

নাদিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হয় ঢাকার কামারপাড়ায়। পরিবারের সদস্যরা নাফিজকে দেখতে হাসপাতালে গেলে শুনেন—নাফিজও পাড়ি জমিয়েছে না ফেরার দেশে। দুজনের মুখে ছিল শিক্ষা ও স্বপ্নের দীপ্তি—একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ হারিয়ে গেল অকালেই।

স্থানীয়দের প্রশ্ন—এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার দায় কার?
নিরাপত্তাহীন নগর ব্যবস্থায় বাচ্চাদের জীবন কতটা অনিরাপদ হয়ে উঠেছে?
তাদের দাবি, দ্রুত বিচার, দায়ীদের জবাবদিহি এবং কঠোর নিরাপত্তা নীতির বাস্তবায়ন—যাতে আর কোনো পরিবার এভাবে ভেঙে না পড়ে।