বাংলাদেশের চামড়াশিল্পের প্রতি অবহেলার কথা স্পষ্টভাবে স্বীকার করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের প্রস্তুতি পর্যালোচনাসভায় তিনি বলেন, “চামড়াশিল্পের ব্যাপারে আমরা অপরাধ করেছি, এটার সঠিক মূল্যায়ন করিনি। অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার কথা থাকলেও সেটা হয়নি।”
চামড়াশিল্পের সংকট সমাধানে পৃথক বৈঠকের নির্দেশ দিয়ে তিনি জানান, এ খাতের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। একইসাথে দেশের শিল্প উন্নয়ন, রপ্তানি প্রসার ও নীতিমালার আধুনিকায়ন নিয়ে আলোচনায় উঠে আসে ১৬টি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের অগ্রগতি।
সভায় এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো বাস্তবায়নে ১৯টি সংস্থা যুক্ত হয়েছে, আরও যুক্ত হচ্ছে। তৈরি পোশাক খাতের মতো অন্যান্য রপ্তানি খাতেও প্রণোদনার বিষয়টি গুরুত্ব পায়। ম্যান-মেইড ফাইবার আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধার কথাও আলোচিত হয়।
সভার অন্যান্য আলোচনায় উঠে আসে:
-
সাভারের ট্যানারি ভিলেজের ইটিপি পূর্ণমাত্রায় চালুর প্রয়োজনীয়তা
-
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় এপিআই পার্ক চালু নিয়ে অগ্রগতি
-
২০২২ সালের শিল্প নীতির হালনাগাদে করণীয়
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের নিজেদের স্বার্থে ও অর্থনীতির জন্য মৌলিক পরিবর্তন আনতেই হবে। যেসব আইন-নীতিমালা কাজে আসছে না, তা পরিবর্তন করতে হবে।”
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরসহ বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।