ঢাকা ০৫:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করলেন ড. ইউনূস যা আছে জুলাই ঘোষণাপত্রে

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৭:৫৪:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫৯০ বার পড়া হয়েছে

জুলাই গণঅভ্যুত্থান ২০২৪-এর এক বছরপূর্তিতে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করলেন দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই ঐতিহাসিক ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।

ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ছিল ফ্যাসিবাদ, একদলীয় শাসন, রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে জনগণের আইনসম্মত ও ন্যায্য প্রতিরোধ। এতে আরও দাবি করা হয়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের দীর্ঘদিনের দুঃশাসন, একচ্ছত্র ক্ষমতা, গুম, খুন, বাকস্বাধীনতা হরণ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে দেশের আপামর জনসাধারণ রাজপথে ফুঁসে উঠেছিল। সেই আন্দোলনের চূড়ান্ত পরিণতিতে ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে শেখ হাসিনার সরকার পতন ঘটে এবং তিনি দেশত্যাগে বাধ্য হন।

ঘোষণাপত্রে ২৮ দফায় ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে স্বাধীনতা-পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যর্থতা, ৭৫ পরবর্তী রাজনৈতিক ইতিহাস, ১/১১-এর প্রেক্ষাপট, একদলীয় শাসনের পুনরাবৃত্তি, তিন দফা প্রহসনের নির্বাচন এবং সর্বশেষ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের জনগণ ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি নতুন রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক বাস্তবতা সৃষ্টি করেছে, যা আইনি ও আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বৈধ।

ঘোষণাপত্রে দাবি করা হয়, ৮ আগস্ট ২০২৪ তারিখে সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতে অধ্যাপক ড. ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। এই সরকারের লক্ষ্য হবে একটি অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।

এতে আরও বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে শহীদদের জাতীয় বীর ঘোষণাসহ সব নির্যাতিত ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে আইনি সুরক্ষা প্রদান করতে হবে। একই সঙ্গে দুর্নীতি, বৈষম্য, মাফিয়া-রাষ্ট্র ও নিপীড়নের চক্র ভেঙে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন কাঠামো গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

ঘোষণাপত্রের শেষাংশে উল্লেখ করা হয়, ভবিষ্যতের কোনো নির্বাচিত সরকার এই ঘোষণাপত্রকে সংশোধিত সংবিধানের তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করবে—এমনই প্রত্যাশা বাংলাদেশের জনগণের।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিমানে ত্রাণ পৌঁছল গাজায়, মানবিক সংকট এখনও কমেনি

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করলেন ড. ইউনূস যা আছে জুলাই ঘোষণাপত্রে

আপডেট সময় ০৭:৫৪:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫

জুলাই গণঅভ্যুত্থান ২০২৪-এর এক বছরপূর্তিতে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করলেন দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই ঐতিহাসিক ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।

ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ছিল ফ্যাসিবাদ, একদলীয় শাসন, রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে জনগণের আইনসম্মত ও ন্যায্য প্রতিরোধ। এতে আরও দাবি করা হয়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের দীর্ঘদিনের দুঃশাসন, একচ্ছত্র ক্ষমতা, গুম, খুন, বাকস্বাধীনতা হরণ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে দেশের আপামর জনসাধারণ রাজপথে ফুঁসে উঠেছিল। সেই আন্দোলনের চূড়ান্ত পরিণতিতে ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে শেখ হাসিনার সরকার পতন ঘটে এবং তিনি দেশত্যাগে বাধ্য হন।

ঘোষণাপত্রে ২৮ দফায় ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে স্বাধীনতা-পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যর্থতা, ৭৫ পরবর্তী রাজনৈতিক ইতিহাস, ১/১১-এর প্রেক্ষাপট, একদলীয় শাসনের পুনরাবৃত্তি, তিন দফা প্রহসনের নির্বাচন এবং সর্বশেষ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের জনগণ ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি নতুন রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক বাস্তবতা সৃষ্টি করেছে, যা আইনি ও আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বৈধ।

ঘোষণাপত্রে দাবি করা হয়, ৮ আগস্ট ২০২৪ তারিখে সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতে অধ্যাপক ড. ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। এই সরকারের লক্ষ্য হবে একটি অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।

এতে আরও বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে শহীদদের জাতীয় বীর ঘোষণাসহ সব নির্যাতিত ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে আইনি সুরক্ষা প্রদান করতে হবে। একই সঙ্গে দুর্নীতি, বৈষম্য, মাফিয়া-রাষ্ট্র ও নিপীড়নের চক্র ভেঙে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন কাঠামো গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

ঘোষণাপত্রের শেষাংশে উল্লেখ করা হয়, ভবিষ্যতের কোনো নির্বাচিত সরকার এই ঘোষণাপত্রকে সংশোধিত সংবিধানের তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করবে—এমনই প্রত্যাশা বাংলাদেশের জনগণের।