ঢাকা ০৫:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডাকসু নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা-শঙ্কা

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১২:০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫৩৪ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা ও শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ক্যাম্পাসে প্রচারণায় অংশ নিয়ে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান অভিযোগ করেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মব তৈরি ও সাইবার বুলিং চলছে। নির্বাচন কমিশনের দুর্বল ভূমিকার কারণে ভোট ঝুঁকির মুখে পড়েছে। তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচন যদি ষড়যন্ত্রের মুখে পড়ে তবে জাতীয় নির্বাচনও ঝুঁকির মুখে পড়বে।

একই দিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংসদের ভিপি প্রার্থী আবদুল কাদের অনলাইনে বুলিংয়ের শিকার হয়ে ফেসবুকে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, তার ডাকসুতে জেতা লাগবে না, কেবল বেঁচে থাকতে চান। অনলাইন আক্রমণ ছাড়াও পরিবার পর্যন্ত হুমকির মুখে পড়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

শিবির সমর্থিত প্রার্থী সাদিক কায়েম প্রচারণাকালে বলেন, ভোট বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে। তবে সব প্রার্থী দায়িত্বশীল আচরণ করলে কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না। তিনি সতর্ক করে বলেন, ষড়যন্ত্রকারীদের পরিণতি শেখ হাসিনার থেকেও ভয়াবহ হবে।

বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের জিএস প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার বলেন, ২০১৯ সালের মতো কারচুপি হলে শিক্ষার্থীরা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করবে। অনলাইনে প্রোপাগান্ডা, সাইবার বুলিং এবং বর্ণবাদী মন্তব্যের মাধ্যমে ভোটারদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে, অথচ প্রশাসন কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছে না।

এদিকে ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত প্যানেল মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে ১৪ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে। তাদের প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে এক শিক্ষার্থী, এক বেড, এক টেবিল বাস্তবায়ন, খাবারের মান উন্নয়ন, ফ্রি স্কলারশিপ, আধুনিক গবেষণা সুবিধা ও ওয়াইফাই চালু করা। অপরদিকে সমন্বিত শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেল ২৭ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে, যেখানে নিরাপদ সহিংসতামুক্ত ক্যাম্পাস, আধুনিক অবকাঠামো, দক্ষতার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ সুবিধার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৮ সেপ্টেম্বর রাত থেকে ১০ সেপ্টেম্বর সকাল পর্যন্ত ক্যাম্পাসে সর্বসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বৈধ আইডিধারী শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অনুমোদিত গাড়ি ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।

জনপ্রিয় সংবাদ

ডাকসু নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা-শঙ্কা

আপডেট সময় ১২:০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা ও শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ক্যাম্পাসে প্রচারণায় অংশ নিয়ে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান অভিযোগ করেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মব তৈরি ও সাইবার বুলিং চলছে। নির্বাচন কমিশনের দুর্বল ভূমিকার কারণে ভোট ঝুঁকির মুখে পড়েছে। তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচন যদি ষড়যন্ত্রের মুখে পড়ে তবে জাতীয় নির্বাচনও ঝুঁকির মুখে পড়বে।

একই দিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংসদের ভিপি প্রার্থী আবদুল কাদের অনলাইনে বুলিংয়ের শিকার হয়ে ফেসবুকে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, তার ডাকসুতে জেতা লাগবে না, কেবল বেঁচে থাকতে চান। অনলাইন আক্রমণ ছাড়াও পরিবার পর্যন্ত হুমকির মুখে পড়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

শিবির সমর্থিত প্রার্থী সাদিক কায়েম প্রচারণাকালে বলেন, ভোট বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে। তবে সব প্রার্থী দায়িত্বশীল আচরণ করলে কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না। তিনি সতর্ক করে বলেন, ষড়যন্ত্রকারীদের পরিণতি শেখ হাসিনার থেকেও ভয়াবহ হবে।

বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের জিএস প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার বলেন, ২০১৯ সালের মতো কারচুপি হলে শিক্ষার্থীরা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করবে। অনলাইনে প্রোপাগান্ডা, সাইবার বুলিং এবং বর্ণবাদী মন্তব্যের মাধ্যমে ভোটারদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে, অথচ প্রশাসন কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছে না।

এদিকে ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত প্যানেল মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে ১৪ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে। তাদের প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে এক শিক্ষার্থী, এক বেড, এক টেবিল বাস্তবায়ন, খাবারের মান উন্নয়ন, ফ্রি স্কলারশিপ, আধুনিক গবেষণা সুবিধা ও ওয়াইফাই চালু করা। অপরদিকে সমন্বিত শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেল ২৭ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে, যেখানে নিরাপদ সহিংসতামুক্ত ক্যাম্পাস, আধুনিক অবকাঠামো, দক্ষতার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ সুবিধার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৮ সেপ্টেম্বর রাত থেকে ১০ সেপ্টেম্বর সকাল পর্যন্ত ক্যাম্পাসে সর্বসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বৈধ আইডিধারী শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অনুমোদিত গাড়ি ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।