ঢাকা ০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষের পর পরই ফিল্ড মার্শাল হলেন আসিম মুনির — পাকিস্তানের সামরিক ইতিহাসে নতুন মাইলফলক

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:২৫:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
  • ৫০২ বার পড়া হয়েছে

ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক উত্তপ্ত সংঘাতের পর অভূতপূর্ব সামরিক পদোন্নতি পেলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান। জেনারেল আসিম মুনির এখন দেশের ইতিহাসে প্রথম ফিল্ড মার্শাল — পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্ক। মঙ্গলবার (২০ মে) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের বরাতে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এই তথ্য নিশ্চিত করে।

মে মাসের শুরুতেই ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। গোলাবর্ষণ, মিসাইল ও ড্রোন হামলার মতো সামরিক সংঘাতে দু’দেশের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। পাকিস্তান দাবি করে, এই সংঘাতে তারা কৌশলগতভাবে জয়ী হয়েছে।

এরপরই সেনাপ্রধান মুনিরকে সর্বোচ্চ সামরিক পদে উন্নীত করে সরকার।

রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম পিটিভি জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে আসিম মুনিরের পদোন্নতির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সরকারের দাবি, ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক উত্তেজনায় মুনিরের ‘অসাধারণ নেতৃত্ব ও কৌশলগত দক্ষতা’র কারণেই তাকে এই মর্যাদাপূর্ণ পদ দেওয়া হয়েছে।

যুদ্ধবিরতির পর পরিস্থিতি আপাত শান্ত থাকলেও সীমান্তে উত্তেজনা এখনও বিরাজমান। এর মধ্যে সেনাপ্রধান মুনির হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “পাকিস্তান শান্তিপ্রিয়, তবে দেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত এলে পাল্টা জবাব দিতে একচুলও পিছপা হব না।”

এদিকে, ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, তাদের চলমান ‘অপারেশন সিঁদুর’ এখনও শেষ হয়নি এবং প্রয়োজনে আরও অভিযান চালানো হবে।

আসিম মুনির ২০২২ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানের ১১তম সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার মেয়াদ সম্প্রতি বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়েছে, যা পাকিস্তানের সামরিক ইতিহাসে ব্যতিক্রমী ঘটনা।

এর আগে তিনি দেশটির শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর প্রধান ছিলেন। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতের পুলওয়ামা হামলার সময় তিনি গোয়েন্দা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ওই হামলায় ৪০ জন ভারতীয় জওয়ান নিহত হন, যা ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের সবচেয়ে ভয়াবহ উত্তেজনার জন্ম দেয়।

বিশ্লেষকদের মতে, দীর্ঘ সময় ধরে মুনিরের নেতৃত্বে পাকিস্তান যে কৌশলগত সামরিক অবস্থান বজায় রেখেছে, তা এবার ফিল্ড মার্শাল পদে তার উন্নীতির মাধ্যমে সরকার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল।

জনপ্রিয় সংবাদ

আটকদের মুচলেকায় ছাড়িয়ে আনায় এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদকে শোকজ

ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষের পর পরই ফিল্ড মার্শাল হলেন আসিম মুনির — পাকিস্তানের সামরিক ইতিহাসে নতুন মাইলফলক

আপডেট সময় ০৯:২৫:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক উত্তপ্ত সংঘাতের পর অভূতপূর্ব সামরিক পদোন্নতি পেলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান। জেনারেল আসিম মুনির এখন দেশের ইতিহাসে প্রথম ফিল্ড মার্শাল — পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্ক। মঙ্গলবার (২০ মে) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের বরাতে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এই তথ্য নিশ্চিত করে।

মে মাসের শুরুতেই ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। গোলাবর্ষণ, মিসাইল ও ড্রোন হামলার মতো সামরিক সংঘাতে দু’দেশের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। পাকিস্তান দাবি করে, এই সংঘাতে তারা কৌশলগতভাবে জয়ী হয়েছে।

এরপরই সেনাপ্রধান মুনিরকে সর্বোচ্চ সামরিক পদে উন্নীত করে সরকার।

রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম পিটিভি জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে আসিম মুনিরের পদোন্নতির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সরকারের দাবি, ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক উত্তেজনায় মুনিরের ‘অসাধারণ নেতৃত্ব ও কৌশলগত দক্ষতা’র কারণেই তাকে এই মর্যাদাপূর্ণ পদ দেওয়া হয়েছে।

যুদ্ধবিরতির পর পরিস্থিতি আপাত শান্ত থাকলেও সীমান্তে উত্তেজনা এখনও বিরাজমান। এর মধ্যে সেনাপ্রধান মুনির হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “পাকিস্তান শান্তিপ্রিয়, তবে দেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত এলে পাল্টা জবাব দিতে একচুলও পিছপা হব না।”

এদিকে, ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, তাদের চলমান ‘অপারেশন সিঁদুর’ এখনও শেষ হয়নি এবং প্রয়োজনে আরও অভিযান চালানো হবে।

আসিম মুনির ২০২২ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানের ১১তম সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার মেয়াদ সম্প্রতি বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়েছে, যা পাকিস্তানের সামরিক ইতিহাসে ব্যতিক্রমী ঘটনা।

এর আগে তিনি দেশটির শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর প্রধান ছিলেন। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতের পুলওয়ামা হামলার সময় তিনি গোয়েন্দা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ওই হামলায় ৪০ জন ভারতীয় জওয়ান নিহত হন, যা ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের সবচেয়ে ভয়াবহ উত্তেজনার জন্ম দেয়।

বিশ্লেষকদের মতে, দীর্ঘ সময় ধরে মুনিরের নেতৃত্বে পাকিস্তান যে কৌশলগত সামরিক অবস্থান বজায় রেখেছে, তা এবার ফিল্ড মার্শাল পদে তার উন্নীতির মাধ্যমে সরকার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল।