ঢাকা ১১:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতের হুমকির পর মোহমান্দ বাঁধ নির্মাণে গতি বাড়াল চীন, পাকিস্তানের পানিস্বত্ব রক্ষায় সক্রিয় পদক্ষেপ

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৫:৩৬:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
  • ৫৭৬ বার পড়া হয়েছে

ভারতের সাম্প্রতিক হুমকির পর পাকিস্তানের পানিস্বত্ব রক্ষায় মোহমান্দ বাঁধ নির্মাণ কাজ আরও দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে চীন। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে একটি ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার পর ভারত বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত সিন্ধু পানি চুক্তি সাময়িকভাবে স্থগিত করে। এর জবাব হিসেবেই চীন এ উদ্যোগ নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ‘চায়না এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন’ ২০১৯ সাল থেকে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে মোহমান্দ হাইড্রো পাওয়ার প্রকল্পে কাজ করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তারা ইতোমধ্যে বাঁধের কংক্রিট ভরাটের কাজ শুরু করেছে, যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকল্পটি সম্পন্ন করা সম্ভব হয়।

মোহমান্দ বাঁধ একটি বহুমুখী প্রকল্প হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে, যার মূল লক্ষ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, কৃষিকাজে সেচ এবং শহরাঞ্চলে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এতে বছরে ৮০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে এবং প্রতিদিন প্রায় ৩০ কোটি গ্যালন পানি সরবরাহ করা যাবে পেশোয়ার শহরে।

চীন ও পাকিস্তান যৌথভাবে আরও একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ করছে, যার বেশিরভাগই চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (CPEC)-এর আওতাভুক্ত। এসব প্রকল্প শিল্প, কৃষি ও জনগণের জীবনমান উন্নয়নের ওপর কেন্দ্রিত।

এ ছাড়া পাকিস্তানে চীন-পাকিস্তান সহযোগিতার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে দিয়ামার-ভাশা বাঁধ প্রকল্প, যা ‘থ্রি গর্জেস প্রজেক্ট’ নামে পরিচিত।

জনপ্রিয় সংবাদ

গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও ইসরায়েলি হামলা, সাধারণ মানুষের মিশ্র প্রতিক্রিয়া

ভারতের হুমকির পর মোহমান্দ বাঁধ নির্মাণে গতি বাড়াল চীন, পাকিস্তানের পানিস্বত্ব রক্ষায় সক্রিয় পদক্ষেপ

আপডেট সময় ০৫:৩৬:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

ভারতের সাম্প্রতিক হুমকির পর পাকিস্তানের পানিস্বত্ব রক্ষায় মোহমান্দ বাঁধ নির্মাণ কাজ আরও দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে চীন। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে একটি ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার পর ভারত বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত সিন্ধু পানি চুক্তি সাময়িকভাবে স্থগিত করে। এর জবাব হিসেবেই চীন এ উদ্যোগ নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ‘চায়না এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন’ ২০১৯ সাল থেকে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে মোহমান্দ হাইড্রো পাওয়ার প্রকল্পে কাজ করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তারা ইতোমধ্যে বাঁধের কংক্রিট ভরাটের কাজ শুরু করেছে, যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকল্পটি সম্পন্ন করা সম্ভব হয়।

মোহমান্দ বাঁধ একটি বহুমুখী প্রকল্প হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে, যার মূল লক্ষ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, কৃষিকাজে সেচ এবং শহরাঞ্চলে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এতে বছরে ৮০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে এবং প্রতিদিন প্রায় ৩০ কোটি গ্যালন পানি সরবরাহ করা যাবে পেশোয়ার শহরে।

চীন ও পাকিস্তান যৌথভাবে আরও একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ করছে, যার বেশিরভাগই চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (CPEC)-এর আওতাভুক্ত। এসব প্রকল্প শিল্প, কৃষি ও জনগণের জীবনমান উন্নয়নের ওপর কেন্দ্রিত।

এ ছাড়া পাকিস্তানে চীন-পাকিস্তান সহযোগিতার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে দিয়ামার-ভাশা বাঁধ প্রকল্প, যা ‘থ্রি গর্জেস প্রজেক্ট’ নামে পরিচিত।