ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করছেন—এমন খবরকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাত ১টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই প্রতিক্রিয়া জানান।
রাশেদ খান লেখেন, “ড. ইউনূস পদত্যাগ করছেন—এই খবর ভিত্তিহীন। তিনি কিছুটা বিরক্ত হয়েছেন ঠিকই, তবে তা কিছু নির্দিষ্ট নেতাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে। মানবজমিনে প্রকাশিত ‘প্রফেসর ইউনূস ইতিমধ্যেই অভ্যুত্থানের নায়কদের ডেকে বলেছেন, তোমরা সংযত হও, নাহলে আমি পদত্যাগ করব’—শিরোনামের সংবাদের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “ড. ইউনূস মূলত এনসিপির (নাগরিক ক্ষমতাধর পার্টি) কিছু নেতা ও নাগরিক পার্টির উপদেষ্টাদের কার্যক্রমে বিরক্ত হয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন। এটি ছাত্রদের উদ্দেশে একটি বার্তা, কোনো পদত্যাগপত্র নয়।”
রাশেদ খান বলেন, “এনসিপির কিছু নেতা সংবাদ প্রকাশের পর নিজেদের দায় এড়াতে ‘সব রাজনৈতিক দল যেন ড. ইউনূসের কাছে গিয়ে ক্ষমা চায়’—এমন আহ্বান জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। এটি একপ্রকার সহানুভূতি কুড়ানোর অপচেষ্টা, যা হাস্যকর।”
তিনি উল্লেখ করেন, “সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ড. ইউনূস পদত্যাগ করছেন না। এটি নিছক গুজব। এমনকি তিনি রাতে দেরিতে জেগে থাকেন না, বরং দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ার চেষ্টা করেন। যখন আমরা এসব নিয়ে আলোচনা করছি, তখন তিনি সম্ভবত ঘুমে আচ্ছন্ন।”