ঢাকা ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পরোয়ানাভুক্ত সেনা কর্মকর্তারা কাল ট্রাইব্যুনালে না এলে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে: প্রসিকিউটর তামিম

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:৩২:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫৭৭ বার পড়া হয়েছে

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা দুটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া সেনা কর্মকর্তারা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির না হলে বা হাজির করা না হলে তাঁদের আত্মসমর্পণ করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।

 

আজ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাইব্যুনালে তিনি এ কথা জানান।

 

 

প্রসিকিউটর তামিম বলেন, গুমের দুটি মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বেশ কয়েকজন সাবেক ও চাকরিরত সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আগামীকাল বুধবার ওই মামলা দুটির নির্ধারিত তারিখ রয়েছে। পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এই পরোয়ানা কার্যকর করার জন্য। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই পরোয়ানার কপি পাঠানো হয়েছিল। এখন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তাঁরা আদালতে আত্মসমর্পণ করতে পারেন অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করে তাঁদের ট্রাইব্যুনালে নিয়ে আসতে পারে।

 

তামিম আরও বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া সেনা কর্মকর্তারা যদি আদালতে হাজির হন বা তাঁদের গ্রেপ্তার করে হাজির করা হয়, ট্রাইব্যুনাল চাইলে তাঁদের জামিন দিতে পারেন, যদি তাঁরা জামিন চান বা জামিনের গ্রাউন্ড থাকে; অথবা কারাগারে পাঠাতে পারেন। কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিলে কারা কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে কোন কারাগারে রাখবে। যদি তাঁরা কাল হাজির না হন বা তাঁদের হাজির করা না হয়, তাহলে আইন অনুযায়ী তাঁদের ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে দুটি জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এরপরও হাজির না হলে তাঁদের পলাতক দেখিয়ে তাঁদের পক্ষে রাষ্ট্র আইনজীবী নিয়োগ দিয়ে মামলা পরিচালনা করতে পারবে। এটাই হলো আইনের বিধান।

 

 

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা দুটি মামলায় ৮ অক্টোবর সেনাবাহিনীর ২৫ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

 

 

এরপর ১১ অক্টোবর ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেস এ-তে এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দুটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া ২৫ কর্মকর্তার মধ্যে ১৫ জন এখনো সেনাবাহিনীতে কর্মরত আছেন। একজন অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে (এলপিআর) আছেন। এই ১৬ জনের মধ্যে গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ ছাড়া অন্যরা সবাই সেনা হেফাজতে রয়েছেন।

 

সেনা কর্মকর্তাদের সেনা হেফাজতে থাকার বিষয়ে আজ প্রসিকিউটর তামিমকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, প্রসিকিউশনের কাছে এ রকম কোনো তথ্য আসবে না। কারণ, পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল। আর যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রি অফিস। রেজিস্ট্রার অফিসের কাছেই এ-সংক্রান্ত তথ্য আসবে। প্রসিকিউশন যদি ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে জানতে পারে—নন-এক্সিকিউশন রিপোর্ট এসেছে, তখন প্রসিকিউশন বলবে পরবর্তী ধাপ কী হবে। আইন এ বিষয়ে শুধু আইনের ধারা বা বিধি লক্ষ করবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা গণমাধ্যমে কী জানতে পেরেছে, এটা ধর্তব্য নয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

কত আসনে প্রার্থী দেবে এনসিপি, স্পষ্ট করলেন নাহিদ

পরোয়ানাভুক্ত সেনা কর্মকর্তারা কাল ট্রাইব্যুনালে না এলে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে: প্রসিকিউটর তামিম

আপডেট সময় ০৯:৩২:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা দুটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া সেনা কর্মকর্তারা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির না হলে বা হাজির করা না হলে তাঁদের আত্মসমর্পণ করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।

 

আজ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাইব্যুনালে তিনি এ কথা জানান।

 

 

প্রসিকিউটর তামিম বলেন, গুমের দুটি মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বেশ কয়েকজন সাবেক ও চাকরিরত সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আগামীকাল বুধবার ওই মামলা দুটির নির্ধারিত তারিখ রয়েছে। পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এই পরোয়ানা কার্যকর করার জন্য। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই পরোয়ানার কপি পাঠানো হয়েছিল। এখন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তাঁরা আদালতে আত্মসমর্পণ করতে পারেন অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করে তাঁদের ট্রাইব্যুনালে নিয়ে আসতে পারে।

 

তামিম আরও বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া সেনা কর্মকর্তারা যদি আদালতে হাজির হন বা তাঁদের গ্রেপ্তার করে হাজির করা হয়, ট্রাইব্যুনাল চাইলে তাঁদের জামিন দিতে পারেন, যদি তাঁরা জামিন চান বা জামিনের গ্রাউন্ড থাকে; অথবা কারাগারে পাঠাতে পারেন। কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিলে কারা কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে কোন কারাগারে রাখবে। যদি তাঁরা কাল হাজির না হন বা তাঁদের হাজির করা না হয়, তাহলে আইন অনুযায়ী তাঁদের ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে দুটি জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এরপরও হাজির না হলে তাঁদের পলাতক দেখিয়ে তাঁদের পক্ষে রাষ্ট্র আইনজীবী নিয়োগ দিয়ে মামলা পরিচালনা করতে পারবে। এটাই হলো আইনের বিধান।

 

 

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা দুটি মামলায় ৮ অক্টোবর সেনাবাহিনীর ২৫ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

 

 

এরপর ১১ অক্টোবর ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেস এ-তে এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দুটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া ২৫ কর্মকর্তার মধ্যে ১৫ জন এখনো সেনাবাহিনীতে কর্মরত আছেন। একজন অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে (এলপিআর) আছেন। এই ১৬ জনের মধ্যে গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ ছাড়া অন্যরা সবাই সেনা হেফাজতে রয়েছেন।

 

সেনা কর্মকর্তাদের সেনা হেফাজতে থাকার বিষয়ে আজ প্রসিকিউটর তামিমকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, প্রসিকিউশনের কাছে এ রকম কোনো তথ্য আসবে না। কারণ, পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল। আর যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রি অফিস। রেজিস্ট্রার অফিসের কাছেই এ-সংক্রান্ত তথ্য আসবে। প্রসিকিউশন যদি ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে জানতে পারে—নন-এক্সিকিউশন রিপোর্ট এসেছে, তখন প্রসিকিউশন বলবে পরবর্তী ধাপ কী হবে। আইন এ বিষয়ে শুধু আইনের ধারা বা বিধি লক্ষ করবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা গণমাধ্যমে কী জানতে পেরেছে, এটা ধর্তব্য নয়।