গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেছেন, তারা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ চায় না এবং দায়িত্ব শেষ হওয়া পর্যন্ত তাকে পদত্যাগ করতে দেবেন না। তবে তিনি মনে করেন, টিমটি সঠিকভাবে কাজ করছে না। ভাল টিম না হলে কেউ ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ হতে পারে, কিন্তু পুরো ম্যাচ জেতা সম্ভব নয়। তাই রাষ্ট্র সংস্কার ও গণহত্যার বিচারের জন্য ড. ইউনূসের টিম পুনর্গঠন জরুরি।
রাশেদ খাঁন বলেন, প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুঞ্জন তৈরি হলেও তিনি পদত্যাগ করছেন না। উপদেষ্টাদের মধ্যে অনেকে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে এবং সেই ষড়যন্ত্রের কারণেই পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, কিছু উপদেষ্টা সংস্কারের নামে অনৈক্য ও দুর্নীতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদকে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত করে শপথ লঙ্ঘনের কারণে পদত্যাগের দাবি তুলেছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজকে অপসারণ ও গ্রেপ্তার করতে হবে। এ বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে, যা শুধুমাত্র এই পদক্ষেপে দূর হবে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে রাশেদ খাঁন বলেন, সেপ্টেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ও ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হওয়া উচিত। এর আগে গণহত্যার বিচার ও রাষ্ট্র সংস্কারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, কিছু উপদেষ্টা ক্ষমতার লোভে প্রধান উপদেষ্টাকে বিভ্রান্ত করছে।
সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান বলেন, বিতর্কিত দুই উপদেষ্টা শপথ ভঙ্গ করেছেন এবং তাদের পদত্যাগ করা জরুরি। তারা ড. ইউনূসকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে, কিন্তু তারা ইউনূসের পক্ষে রয়েছে।
বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন বলেন, দুর্নীতিতে জড়িত ও অনৈক্য সৃষ্টিকারী উপদেষ্টাদের পদত্যাগ না হলে তাদের বহিষ্কারের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কাছে আবেদন করা হবে। এছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসককেও বহিষ্কার করতে হবে।