ঢাকা ০৯:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারত থেকে বাংলাদেশে ‘পুশ ইন’ বাড়ছে: জীবিকার টানে সীমান্ত পাড়ি, উদ্বেগে দুই দেশ

ভারত থেকে সম্প্রতি বাংলাদেশে পুশ ইন করা শত শত মানুষকে কেন্দ্র করে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। তাদের কেউ রোহিঙ্গা, কেউ বাংলাদেশি—যারা জীবিকার সন্ধানে অবৈধভাবে গিয়েছিলেন ভারতে। বিজিবির হাতে আটক হওয়া জাহানারা খাতুন ও নুরুন্নাহারসহ ১৭ জন নারী জানান, বিএসএফ সদস্যরা পরিকল্পিতভাবে গুলি চালিয়ে তাদের সীমান্ত পেরিয়ে পাঠায় এবং পুশ ইন পরবর্তী অবস্থানেও কী বলতে হবে, তাও শিখিয়ে দেয়।

ভারত থেকে পুশ ইন হওয়া এসব মানুষের মধ্যে যেমন রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে আসা শ্রমিক, তেমনি রাজস্থান, মুম্বাই থেকে আটক হয়ে ফেরত পাঠানো নারীও রয়েছেন। দিনাজপুরের তরিকুল ইসলাম ও যশোরের খালেক মন্ডলের মতো বহু হতদরিদ্র ব্যক্তি জানান, বাংলাদেশে কৃষিকাজ মৌসুমি হওয়ায় তারা ভারতের পাথর ভাঙার মতো ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে যুক্ত হন—কারণ সেখানে কাজ ও আয় স্থায়ী।

দালাল চক্রের সহায়তায় সীমান্তে কাঁটাতারের ওপর মই লাগিয়ে বা বেড়া কেটে এসব পাড়ি দেওয়া হয় বলে জানান ফেরত আসা ব্যক্তিরা। বিশাল সীমান্তে নজরদারির সীমাবদ্ধতাও স্বীকার করেছে বিজিবি।

বাংলাদেশ সরকার নাগরিকত্ব যাচাইয়ের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও, প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে—জীবিকার অভাবে এই অবৈধ অনুপ্রবেশ কীভাবে বন্ধ করা যাবে? পরিস্থিতি সামাল দিতে দুই দেশের মধ্যে আরও কার্যকর সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তা এখন প্রবলভাবে অনুভূত হচ্ছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

অন্তর্বর্তী সরকারের করণীয় নির্ধারণে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বসছেন চরমোনাই পীরসহ ইসলামি জোটের শীর্ষ নেতারা

ভারত থেকে বাংলাদেশে ‘পুশ ইন’ বাড়ছে: জীবিকার টানে সীমান্ত পাড়ি, উদ্বেগে দুই দেশ

আপডেট সময় ০৪:৫১:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

ভারত থেকে সম্প্রতি বাংলাদেশে পুশ ইন করা শত শত মানুষকে কেন্দ্র করে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। তাদের কেউ রোহিঙ্গা, কেউ বাংলাদেশি—যারা জীবিকার সন্ধানে অবৈধভাবে গিয়েছিলেন ভারতে। বিজিবির হাতে আটক হওয়া জাহানারা খাতুন ও নুরুন্নাহারসহ ১৭ জন নারী জানান, বিএসএফ সদস্যরা পরিকল্পিতভাবে গুলি চালিয়ে তাদের সীমান্ত পেরিয়ে পাঠায় এবং পুশ ইন পরবর্তী অবস্থানেও কী বলতে হবে, তাও শিখিয়ে দেয়।

ভারত থেকে পুশ ইন হওয়া এসব মানুষের মধ্যে যেমন রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে আসা শ্রমিক, তেমনি রাজস্থান, মুম্বাই থেকে আটক হয়ে ফেরত পাঠানো নারীও রয়েছেন। দিনাজপুরের তরিকুল ইসলাম ও যশোরের খালেক মন্ডলের মতো বহু হতদরিদ্র ব্যক্তি জানান, বাংলাদেশে কৃষিকাজ মৌসুমি হওয়ায় তারা ভারতের পাথর ভাঙার মতো ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে যুক্ত হন—কারণ সেখানে কাজ ও আয় স্থায়ী।

দালাল চক্রের সহায়তায় সীমান্তে কাঁটাতারের ওপর মই লাগিয়ে বা বেড়া কেটে এসব পাড়ি দেওয়া হয় বলে জানান ফেরত আসা ব্যক্তিরা। বিশাল সীমান্তে নজরদারির সীমাবদ্ধতাও স্বীকার করেছে বিজিবি।

বাংলাদেশ সরকার নাগরিকত্ব যাচাইয়ের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও, প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে—জীবিকার অভাবে এই অবৈধ অনুপ্রবেশ কীভাবে বন্ধ করা যাবে? পরিস্থিতি সামাল দিতে দুই দেশের মধ্যে আরও কার্যকর সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তা এখন প্রবলভাবে অনুভূত হচ্ছে।