ঢাকা ০২:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরানে ইসরায়েলের সাঁড়াশি বিমান হামলা, ২০০’র বেশি যুদ্ধবিমান ব্যবহারের দাবি IDF-এর

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১২:৪২:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫
  • ৫৫১ বার পড়া হয়েছে

রানে চলমান যুদ্ধাবস্থার মধ্যে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (IDF) জানিয়েছে, তারা ২০০টিরও বেশি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে একাধিক টার্গেটে আঘাত হেনেছে।

IDF-এর মুখপাত্র অ্যাফি ডেফ্রিন এক সরাসরি ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান।

ডেফ্রিন বলেন,

“ইরানের বিভিন্ন এলাকায় ১০০টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছে এবং ৩৩০টিরও বেশি বিস্ফোরক ও অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।”

তিনি আরও যোগ করেন,

“এই হামলা ছিল অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট ও সমন্বিত একটি সামরিক অভিযান। আমাদের পাইলটরা এখনও ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে টার্গেট অনুযায়ী হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।”

এই সাঁড়াশি আক্রমণের ফলে ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চাপে রয়েছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। ইসরায়েল যদিও দাবি করছে যে, হামলার লক্ষ্য ছিল কেবল সামরিক ও পারমাণবিক সংশ্লিষ্ট স্থাপনাগুলো, তবুও এই আক্রমণের মাত্রা ও গভীরতা মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও অস্থির করে তুলেছে।

CNN সূত্রে পাওয়া তথ্যমতে, এ হামলা মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তাব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক ইঙ্গিত বহন করছে। দুই আঞ্চলিক শক্তির মধ্যে এই সরাসরি সংঘর্ষ আন্তর্জাতিক কূটনীতির জন্যও বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে।

বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, এই সামরিক সংঘাত যদি অব্যাহত থাকে বা প্রসারিত হয়, তাহলে এটি শুধু ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বেই সীমাবদ্ধ থাকবে না— বরং গোটা মধ্যপ্রাচ্যে একটি বৃহৎ আঞ্চলিক যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি করবে।

এদিকে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ একাধিক রাষ্ট্র ও সংস্থা পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং উভয়পক্ষকে সংযমের আহ্বান জানিয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাবি ছাত্রদলের ১২ নেতাকর্মীকে একযোগে অব্যাহতি, কারণ দায়িত্বে অবহেলা

ইরানে ইসরায়েলের সাঁড়াশি বিমান হামলা, ২০০’র বেশি যুদ্ধবিমান ব্যবহারের দাবি IDF-এর

আপডেট সময় ১২:৪২:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫

রানে চলমান যুদ্ধাবস্থার মধ্যে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (IDF) জানিয়েছে, তারা ২০০টিরও বেশি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে একাধিক টার্গেটে আঘাত হেনেছে।

IDF-এর মুখপাত্র অ্যাফি ডেফ্রিন এক সরাসরি ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান।

ডেফ্রিন বলেন,

“ইরানের বিভিন্ন এলাকায় ১০০টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছে এবং ৩৩০টিরও বেশি বিস্ফোরক ও অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।”

তিনি আরও যোগ করেন,

“এই হামলা ছিল অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট ও সমন্বিত একটি সামরিক অভিযান। আমাদের পাইলটরা এখনও ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে টার্গেট অনুযায়ী হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।”

এই সাঁড়াশি আক্রমণের ফলে ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চাপে রয়েছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। ইসরায়েল যদিও দাবি করছে যে, হামলার লক্ষ্য ছিল কেবল সামরিক ও পারমাণবিক সংশ্লিষ্ট স্থাপনাগুলো, তবুও এই আক্রমণের মাত্রা ও গভীরতা মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও অস্থির করে তুলেছে।

CNN সূত্রে পাওয়া তথ্যমতে, এ হামলা মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তাব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক ইঙ্গিত বহন করছে। দুই আঞ্চলিক শক্তির মধ্যে এই সরাসরি সংঘর্ষ আন্তর্জাতিক কূটনীতির জন্যও বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে।

বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, এই সামরিক সংঘাত যদি অব্যাহত থাকে বা প্রসারিত হয়, তাহলে এটি শুধু ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বেই সীমাবদ্ধ থাকবে না— বরং গোটা মধ্যপ্রাচ্যে একটি বৃহৎ আঞ্চলিক যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি করবে।

এদিকে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ একাধিক রাষ্ট্র ও সংস্থা পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং উভয়পক্ষকে সংযমের আহ্বান জানিয়েছে।