ঢাকা ০৪:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরানে ইসরায়েলের হামলাকে ‘আইন লঙ্ঘন’ বললো জর্ডান, তীব্র প্রতিক্রিয়ায় মুসলিম বিশ্ব ও আন্তর্জাতিক মহল

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:৪৮:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫
  • ৫৯১ বার পড়া হয়েছে

ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসরায়েলি হামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও মুসলিম বিশ্ব। জর্ডান এই হামলাকে ‘ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন’ হিসেবে অভিহিত করেছে।

জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আইমান সাফাদির সঙ্গে এক টেলিফোনালাপে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেন, “ইরান দৃঢ়ভাবে এই হামলার জবাব দেবে।” শুক্রবার সকালবেলা তেহরানে একাধিক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে রাজধানী, যেখানে ইরানের কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার ও বিজ্ঞানী নিহত হন। কিছুক্ষণ পর এই হামলার দায় স্বীকার করে নেয় ইসরায়েল।

ইসরায়েলের এ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চারটি মুসলিম দেশ—তুরস্ক, ওমান, ইন্দোনেশিয়া ও সৌদি আরব একযোগে প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা একে ‘আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য সরাসরি হুমকি’ বলে উল্লেখ করে।

এদিকে জাতিসংঘসহ অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও জাপান সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া জানায়, “মধ্যপ্রাচ্যে আরও অস্থিরতা সৃষ্টি হলে তা বৈশ্বিক নিরাপত্তার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”

নিউজিল্যান্ড ও জাপান পৃথক বিবৃতিতে বলেছে, “সামরিক পদক্ষেপ কখনোই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হতে পারে না। সংলাপ ও কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমেই উত্তেজনা নিরসন করতে হবে।”

আন্তর্জাতিকভাবে উত্তেজনার পারদ যখন চরমে, তখন অনেকেই এই সংঘর্ষকে একটি বৃহৎ যুদ্ধের পূর্বাভাস হিসেবেও দেখছেন। ইরান কী ধরনের প্রতিক্রিয়া জানায়, এখন তা দেখার অপেক্ষা।

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাবি ছাত্রদলের ১২ নেতাকর্মীকে একযোগে অব্যাহতি, কারণ দায়িত্বে অবহেলা

ইরানে ইসরায়েলের হামলাকে ‘আইন লঙ্ঘন’ বললো জর্ডান, তীব্র প্রতিক্রিয়ায় মুসলিম বিশ্ব ও আন্তর্জাতিক মহল

আপডেট সময় ০৯:৪৮:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫

ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসরায়েলি হামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও মুসলিম বিশ্ব। জর্ডান এই হামলাকে ‘ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন’ হিসেবে অভিহিত করেছে।

জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আইমান সাফাদির সঙ্গে এক টেলিফোনালাপে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেন, “ইরান দৃঢ়ভাবে এই হামলার জবাব দেবে।” শুক্রবার সকালবেলা তেহরানে একাধিক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে রাজধানী, যেখানে ইরানের কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার ও বিজ্ঞানী নিহত হন। কিছুক্ষণ পর এই হামলার দায় স্বীকার করে নেয় ইসরায়েল।

ইসরায়েলের এ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চারটি মুসলিম দেশ—তুরস্ক, ওমান, ইন্দোনেশিয়া ও সৌদি আরব একযোগে প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা একে ‘আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য সরাসরি হুমকি’ বলে উল্লেখ করে।

এদিকে জাতিসংঘসহ অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও জাপান সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া জানায়, “মধ্যপ্রাচ্যে আরও অস্থিরতা সৃষ্টি হলে তা বৈশ্বিক নিরাপত্তার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”

নিউজিল্যান্ড ও জাপান পৃথক বিবৃতিতে বলেছে, “সামরিক পদক্ষেপ কখনোই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হতে পারে না। সংলাপ ও কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমেই উত্তেজনা নিরসন করতে হবে।”

আন্তর্জাতিকভাবে উত্তেজনার পারদ যখন চরমে, তখন অনেকেই এই সংঘর্ষকে একটি বৃহৎ যুদ্ধের পূর্বাভাস হিসেবেও দেখছেন। ইরান কী ধরনের প্রতিক্রিয়া জানায়, এখন তা দেখার অপেক্ষা।