ঢাকা ০৭:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যশোরের জাফরসহ বাংলাদেশিদের রাশিয়ায় যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানোর অভিযোগে মানবপাচার মামলা

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১২:০০:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
  • ৫৮৪ বার পড়া হয়েছে

যশোরের জাফর হোসেনসহ একাধিক বাংলাদেশিকে মিথ্যা চাকরির প্রলোভনে রাশিয়ায় নিয়ে গিয়ে যুদ্ধে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগে মানবপাচার চক্রের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ জুন) যশোরের মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ এ সংক্রান্ত মামলা দায়ের করেন জাফরের ভাই বজলুর রহমান। তিনি যশোর সদর উপজেলার বড় মেঘলা গ্রামের বাসিন্দা।

মামলায় বলা হয়, জাফর হোসেন বর্তমানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফ্রন্টলাইনে রাশিয়ার হয়ে একটি বাঙ্কারে অবস্থান করছেন। মানবপাচারের অভিযোগ আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনালের বিচারক ড. মো. আতোয়ার রহমান মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন সিআইডিকে।

অভিযুক্তরা হলেন:

এসএম আবুল হাসান, চেয়ারম্যান, ড্রিম হোম ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস (নড়াইল)

ফাবিহা জেরিন তামান্না, তার পার্টনার (ঢাকা, আশকোনা)

আলমগীর হোসেন দেলোয়ার (চট্টগ্রাম, লোহাগড়া)

শফিকুর রহমান, মালিক, ভ্যাকেশন প্লানার (ঢাকা, নয়াপল্টন)

মামলায় অভিযোগ করা হয়, এসএম আবুল হাসান ও ফাবিহা জেরিন তামান্না জাফরকে রাশিয়ায় ক্লিনার বা শেফের সহকারী পদে মাসিক ১ লাখ ২০ হাজার টাকা বেতনে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ৭ লাখ ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। প্রথমে তাকে সৌদি আরব পাঠানো হয় ২০২৪ সালের ১৭ অক্টোবর। সেখানে দুই মাস রাখার পর ২২ ডিসেম্বর রাশিয়ার সেইন্ট পিটার্সবার্গে নেওয়া হয়।

রাশিয়ায় পৌঁছানোর পর আলমগীর হোসেন দেলোয়ারসহ আরও কিছু ব্যক্তি তাদের গ্রহণ করে একটি আর্মি ক্যাম্পে নিয়ে যান। বলা হয়, কাজ শুরুর আগে ২০ দিনের ট্রেনিং নিতে হবে। পরে জানা যায়, আসলে ২০২৬ সালের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ১ বছরের জন্য জনপ্রতি ১৪ হাজার ডলারে যুদ্ধচুক্তিতে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। ফলে জাফরসহ অন্যদের বাধ্য হয়ে যুদ্ধে অংশ নিতে হয়।

মামলার বর্ণনা অনুযায়ী, এক যুবক আকরাম হোসেন পালিয়ে দেশে ফিরে আসতে সক্ষম হন। তার মাধ্যমেই পরিবারের সদস্যরা জাফরের অবস্থান ও দুরবস্থার বিষয়ে জানতে পারেন।

বাদীর আইনজীবী ব্যারিস্টার কাজী মো. রেজওয়ান সেতু জানান, এ ঘটনায় মানবপাচার ও প্রতারণার সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে। আদালতের আদেশ অনুযায়ী তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

“আগামী ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন, ক্ষমতায় আসবে কেবল জনগণের সরকার: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস”

যশোরের জাফরসহ বাংলাদেশিদের রাশিয়ায় যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানোর অভিযোগে মানবপাচার মামলা

আপডেট সময় ১২:০০:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

যশোরের জাফর হোসেনসহ একাধিক বাংলাদেশিকে মিথ্যা চাকরির প্রলোভনে রাশিয়ায় নিয়ে গিয়ে যুদ্ধে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগে মানবপাচার চক্রের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ জুন) যশোরের মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ এ সংক্রান্ত মামলা দায়ের করেন জাফরের ভাই বজলুর রহমান। তিনি যশোর সদর উপজেলার বড় মেঘলা গ্রামের বাসিন্দা।

মামলায় বলা হয়, জাফর হোসেন বর্তমানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফ্রন্টলাইনে রাশিয়ার হয়ে একটি বাঙ্কারে অবস্থান করছেন। মানবপাচারের অভিযোগ আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনালের বিচারক ড. মো. আতোয়ার রহমান মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন সিআইডিকে।

অভিযুক্তরা হলেন:

এসএম আবুল হাসান, চেয়ারম্যান, ড্রিম হোম ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস (নড়াইল)

ফাবিহা জেরিন তামান্না, তার পার্টনার (ঢাকা, আশকোনা)

আলমগীর হোসেন দেলোয়ার (চট্টগ্রাম, লোহাগড়া)

শফিকুর রহমান, মালিক, ভ্যাকেশন প্লানার (ঢাকা, নয়াপল্টন)

মামলায় অভিযোগ করা হয়, এসএম আবুল হাসান ও ফাবিহা জেরিন তামান্না জাফরকে রাশিয়ায় ক্লিনার বা শেফের সহকারী পদে মাসিক ১ লাখ ২০ হাজার টাকা বেতনে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ৭ লাখ ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। প্রথমে তাকে সৌদি আরব পাঠানো হয় ২০২৪ সালের ১৭ অক্টোবর। সেখানে দুই মাস রাখার পর ২২ ডিসেম্বর রাশিয়ার সেইন্ট পিটার্সবার্গে নেওয়া হয়।

রাশিয়ায় পৌঁছানোর পর আলমগীর হোসেন দেলোয়ারসহ আরও কিছু ব্যক্তি তাদের গ্রহণ করে একটি আর্মি ক্যাম্পে নিয়ে যান। বলা হয়, কাজ শুরুর আগে ২০ দিনের ট্রেনিং নিতে হবে। পরে জানা যায়, আসলে ২০২৬ সালের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ১ বছরের জন্য জনপ্রতি ১৪ হাজার ডলারে যুদ্ধচুক্তিতে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। ফলে জাফরসহ অন্যদের বাধ্য হয়ে যুদ্ধে অংশ নিতে হয়।

মামলার বর্ণনা অনুযায়ী, এক যুবক আকরাম হোসেন পালিয়ে দেশে ফিরে আসতে সক্ষম হন। তার মাধ্যমেই পরিবারের সদস্যরা জাফরের অবস্থান ও দুরবস্থার বিষয়ে জানতে পারেন।

বাদীর আইনজীবী ব্যারিস্টার কাজী মো. রেজওয়ান সেতু জানান, এ ঘটনায় মানবপাচার ও প্রতারণার সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে। আদালতের আদেশ অনুযায়ী তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।