ঢাকা ০৪:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরাইলই যুদ্ধ শুরু করেছে, যুদ্ধবিরতির প্রয়োজন নেই”: ঢাকাস্থ ইরানি রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশী

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:২০:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
  • ৫৩৫ বার পড়া হয়েছে

ঢাকায় নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশী জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ইরান যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে না। তিনি বলেন, “যুদ্ধ শুরু করেছে ইসরাইল। তারা যদি হামলা বন্ধ করে, তাহলে ইরানও পাল্টা আক্রমণ থেকে বিরত থাকবে।”

গতকাল (মঙ্গলবার) দৈনিক নয়া দিগন্ত-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব মন্তব্য করেন রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, এখনো ইসরাইল ইরানে হামলা অব্যাহত রেখেছে। সেই প্রেক্ষাপটে ইরান যুদ্ধ বন্ধে কোনো চুক্তির প্রয়োজনও দেখছে না।

রাষ্ট্রদূত চাভোশী বলেন, “ইরান কখনো আগ্রাসী ছিল না, বরং আগ্রাসনের শিকার। আমরা আত্মরক্ষার জন্যই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছি। ভবিষ্যতে আবার যদি কোনো আগ্রাসন হয়, তাহলে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে প্রতিরোধ করবে।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের সৈনিকরা শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত আগ্রাসন প্রতিহত করেছে—তাদের এই সাহসিকতার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।”

পারমাণবিক আলোচনা ভেস্তে গেলো হামলার মুখে
সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রদূতের কাছে জানতে চাওয়া হয়, চলমান পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ আলোচনা এবং সাম্প্রতিক হামলার প্রেক্ষাপটে ইরানের অবস্থান কী। জবাবে তিনি বলেন, “ইরানের ইসলামি প্রজাতন্ত্র ও ড. পেজেশকিয়ান-এর সরকার উত্তেজনা প্রশমনে এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাসী। সে লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনার পথ বেছে নিয়েছিল ইরান।”

চাভোশী জানান, আলোচনার ষষ্ঠ ধাপ শুরুর আগ মুহূর্তেই ইসরাইলি আগ্রাসন এবং তার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের হামলা ইরানকে আলোচনার পথ থেকে সরে যেতে বাধ্য করেছে। তিনি বলেন, “আমরা পরমাণু অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শান্তিপূর্ণ কাজে পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার এবং নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের মতো বিষয় নিয়ে একটি কাঠামোতে একমত হওয়ার প্রস্তুতিতে ছিলাম। কিন্তু আগ্রাসনের মুখে পড়ে সেই আলোচনা থমকে যায়।”

হরমুজ প্রণালী পুনরায় খোলা হবে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে রাষ্ট্রদূত বলেন, “এটি ইরানের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের বিষয়। তবে এটা প্রমাণিত—আমরা আগ্রাসন করিনি, বরং আত্মরক্ষায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছি।”

তিনি পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোকে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক আগ্রাসন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান এবং বলেন, ইরান শান্তির পক্ষেই অবস্থান নিতে চায়, তবে আঘাত এলে জবাব দিতে পিছপা হবে না।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

“হাসিনা চ্যাপ্টার ক্লোজড”—ঝিনাইদহে এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহর বক্তব্যে উত্তেজনা

ইসরাইলই যুদ্ধ শুরু করেছে, যুদ্ধবিরতির প্রয়োজন নেই”: ঢাকাস্থ ইরানি রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশী

আপডেট সময় ১০:২০:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

ঢাকায় নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশী জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ইরান যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে না। তিনি বলেন, “যুদ্ধ শুরু করেছে ইসরাইল। তারা যদি হামলা বন্ধ করে, তাহলে ইরানও পাল্টা আক্রমণ থেকে বিরত থাকবে।”

গতকাল (মঙ্গলবার) দৈনিক নয়া দিগন্ত-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব মন্তব্য করেন রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, এখনো ইসরাইল ইরানে হামলা অব্যাহত রেখেছে। সেই প্রেক্ষাপটে ইরান যুদ্ধ বন্ধে কোনো চুক্তির প্রয়োজনও দেখছে না।

রাষ্ট্রদূত চাভোশী বলেন, “ইরান কখনো আগ্রাসী ছিল না, বরং আগ্রাসনের শিকার। আমরা আত্মরক্ষার জন্যই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছি। ভবিষ্যতে আবার যদি কোনো আগ্রাসন হয়, তাহলে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে প্রতিরোধ করবে।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের সৈনিকরা শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত আগ্রাসন প্রতিহত করেছে—তাদের এই সাহসিকতার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।”

পারমাণবিক আলোচনা ভেস্তে গেলো হামলার মুখে
সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রদূতের কাছে জানতে চাওয়া হয়, চলমান পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ আলোচনা এবং সাম্প্রতিক হামলার প্রেক্ষাপটে ইরানের অবস্থান কী। জবাবে তিনি বলেন, “ইরানের ইসলামি প্রজাতন্ত্র ও ড. পেজেশকিয়ান-এর সরকার উত্তেজনা প্রশমনে এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাসী। সে লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনার পথ বেছে নিয়েছিল ইরান।”

চাভোশী জানান, আলোচনার ষষ্ঠ ধাপ শুরুর আগ মুহূর্তেই ইসরাইলি আগ্রাসন এবং তার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের হামলা ইরানকে আলোচনার পথ থেকে সরে যেতে বাধ্য করেছে। তিনি বলেন, “আমরা পরমাণু অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শান্তিপূর্ণ কাজে পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার এবং নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের মতো বিষয় নিয়ে একটি কাঠামোতে একমত হওয়ার প্রস্তুতিতে ছিলাম। কিন্তু আগ্রাসনের মুখে পড়ে সেই আলোচনা থমকে যায়।”

হরমুজ প্রণালী পুনরায় খোলা হবে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে রাষ্ট্রদূত বলেন, “এটি ইরানের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের বিষয়। তবে এটা প্রমাণিত—আমরা আগ্রাসন করিনি, বরং আত্মরক্ষায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছি।”

তিনি পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোকে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক আগ্রাসন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান এবং বলেন, ইরান শান্তির পক্ষেই অবস্থান নিতে চায়, তবে আঘাত এলে জবাব দিতে পিছপা হবে না।