বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, “জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রয়োজনীয় সংস্কার নিশ্চিত করতেই হবে। বিশেষ করে স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি।” তিনি মনে করেন, স্থানীয় সরকার হলো প্রশাসনের ভিত্তি—এই স্তরে সুষ্ঠু নির্বাচনই প্রমাণ করবে নির্বাচন কমিশনের প্রকৃত সক্ষমতা।
বুধবার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় ঢাকার মগবাজারের আল-ফালাহ মিলনায়তনে উপজেলা ও থানা আমীরগণের শিক্ষা শিবিরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “যদি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দুর্বলতা ধরা পড়ে, তাহলে তা সংশোধন করেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। গণতন্ত্র মজবুত করতে হলে নির্বাচন হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক।”
তিনি নির্বাচনকে “সমতল মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ” করতে জোর তাগিদ দেন এবং বলেন, “যাতে সবাই ন্যায্যভাবে ভূমিকা রাখতে পারে।”
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের মর্যাদা ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা প্রবাসীদের কথা উল্লেখ করে জামায়াত আমীর বলেন, “তাদের ভোটার তালিকাভুক্ত করতে হবে। প্রবাসীরা আমাদের গর্ব—তাদের অধিকারও সম্মানের সঙ্গে নিশ্চিত করতে হবে।”
এ সময় তিনি তৃণমূল পর্যায়ে দলের সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন। বলেন, “জনগণের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে আস্থা অর্জন করতে হবে।”বক্তব্যে তিনি জানান, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে তিনশ আসনেই প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা তৈরি হয়েছে এবং দল ইতোমধ্যে নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছে।তিনি এটিএম আজহারুল ইসলামকে আদালতে বেকসুর খালাস দেওয়ার বিষয়টিকে ‘আল্লাহর রহমত’ আখ্যা দেন এবং বলেন, “আদালতের এই রায়ের মাধ্যমেই আমরা আমাদের নিবন্ধন ও প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ ফিরে পেয়েছি। এটি ন্যায়ের বিজয়।”ডা. শফিক বলেন, “আমরা যদি আন্তরিকভাবে চেষ্টা করি, আল্লাহর উপর ভরসা রাখি, তাহলে বিজয় অবশ্যই আসবে। তবে সবাইকে নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার মানসিকতা নিয়ে এগোতে হবে।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আব্দুল হালিম এবং সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য জনাব আবদুর রব।