ঢাকা ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে ইসলামী দলগুলোর নির্বাচনী সমঝোতার তৎপরতা

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৮:৩৪:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
  • ৫৫৬ বার পড়া হয়েছে

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একক প্রার্থী দেওয়ার লক্ষ্যে একত্রিত হওয়ার প্রচেষ্টায় নেমেছে দেশের বিভিন্ন ইসলামী রাজনৈতিক দল। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তারা নির্বাচনী জোট কিংবা বৃহত্তর সমঝোতায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। এর ফলে সম্ভাব্য জোটভুক্ত দলগুলো একে অপরকে নির্বাচনী আসনে ছাড় দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এই প্রক্রিয়ার নেতৃত্ব দিচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। তারা চেষ্টা করছে নিবন্ধিত ও বাস্তব ভোটব্যাংক থাকা ইসলামী দলগুলোকে একই প্ল্যাটফর্মে আনতে। ধারণা করা হচ্ছে, এই প্রক্রিয়ায় অন্তত আটটি ইসলামী দল অংশ নেবে।

এছাড়াও এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর মতো মধ্যপন্থী দলগুলোকেও এই বৃহত্তর সমঝোতার আওতায় আনার বিষয়ে আলোচনা চলছে। বিষয়টি সামনে রেখে লিয়াজোঁ কমিটির সদস্যরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।

তবে এখন পর্যন্ত কোনো চূড়ান্ত সমঝোতা কিংবা নির্বাচনী জোট গঠনের ঘোষণা আসেনি। ধারাবাহিক আলোচনার মাধ্যমে এগিয়ে চলেছে এই প্রক্রিয়া, যা তপশিল ঘোষণার পর আরও স্পষ্ট হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে আলোচনায় নেই হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনটি ‘বিএনপির সঙ্গে জোট’ গঠনের পক্ষে নয় বলেই জানা গেছে। ফলে তারা এই সমঝোতা প্রক্রিয়ায় থাকছে না।

পর্যবেক্ষকদের মতে, ইসলামী দলগুলোর এই একত্রিত হওয়ার প্রচেষ্টা নির্বাচনে কৌশলগত প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে যেসব আসনে ইসলামী ভোটের অবস্থান দৃঢ়। এখন দেখার বিষয়, শেষ পর্যন্ত কোনো কার্যকর জোট বাস্তব রূপ পায় কিনা।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

অন্তঃসত্ত্বা মায়ের ঝুলন্ত দেহ, পাশে গলাকাটা শিশু—ফরিদপুরে চাঞ্চল্য

আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে ইসলামী দলগুলোর নির্বাচনী সমঝোতার তৎপরতা

আপডেট সময় ০৮:৩৪:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একক প্রার্থী দেওয়ার লক্ষ্যে একত্রিত হওয়ার প্রচেষ্টায় নেমেছে দেশের বিভিন্ন ইসলামী রাজনৈতিক দল। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তারা নির্বাচনী জোট কিংবা বৃহত্তর সমঝোতায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। এর ফলে সম্ভাব্য জোটভুক্ত দলগুলো একে অপরকে নির্বাচনী আসনে ছাড় দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এই প্রক্রিয়ার নেতৃত্ব দিচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। তারা চেষ্টা করছে নিবন্ধিত ও বাস্তব ভোটব্যাংক থাকা ইসলামী দলগুলোকে একই প্ল্যাটফর্মে আনতে। ধারণা করা হচ্ছে, এই প্রক্রিয়ায় অন্তত আটটি ইসলামী দল অংশ নেবে।

এছাড়াও এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর মতো মধ্যপন্থী দলগুলোকেও এই বৃহত্তর সমঝোতার আওতায় আনার বিষয়ে আলোচনা চলছে। বিষয়টি সামনে রেখে লিয়াজোঁ কমিটির সদস্যরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।

তবে এখন পর্যন্ত কোনো চূড়ান্ত সমঝোতা কিংবা নির্বাচনী জোট গঠনের ঘোষণা আসেনি। ধারাবাহিক আলোচনার মাধ্যমে এগিয়ে চলেছে এই প্রক্রিয়া, যা তপশিল ঘোষণার পর আরও স্পষ্ট হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে আলোচনায় নেই হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনটি ‘বিএনপির সঙ্গে জোট’ গঠনের পক্ষে নয় বলেই জানা গেছে। ফলে তারা এই সমঝোতা প্রক্রিয়ায় থাকছে না।

পর্যবেক্ষকদের মতে, ইসলামী দলগুলোর এই একত্রিত হওয়ার প্রচেষ্টা নির্বাচনে কৌশলগত প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে যেসব আসনে ইসলামী ভোটের অবস্থান দৃঢ়। এখন দেখার বিষয়, শেষ পর্যন্ত কোনো কার্যকর জোট বাস্তব রূপ পায় কিনা।