ঢাকা ০২:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজায় ইসরায়েলি অবরোধ: অপুষ্টিতে ৬৬ শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১১:২২:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
  • ৫৩১ বার পড়া হয়েছে

এবার ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলের চলমান অবরোধ ও হামলার মধ্যে অপুষ্টিতে অন্তত ৬৬ শিশু মারা গেছে। শনিবার (২৮ জুন) গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এ তথ্য জানিয়েছে। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার প্রশাসনের অভিযোগ দুধ, পুষ্টিকর খাদ্য এবং অন্যান্য মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দেয়াতেই এই সংকটের সৃষ্টি হয়েছে।

এক বিবৃতিতে গাজার মিডিয়া প্রশাসন জানিয়েছে, ইসরাইলের এই অবরোধ একটি যুদ্ধাপরাধ। বেসামরিক লোকদের নির্মূল করার জন্য পরিকল্পিতভাবে খাদ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের জন্যই এমন ঘটনা ঘটছে। এদিকে গাজার তুফাহ, দেইর আল বালাহ, রাফা, খান ইউনিসসহ বেশ কয়েকটি এলাকাতেই চলছে ইসরাইলি বিমান হামলা। শনিবার একদিনে নিহত হয়েছেন অন্তত ৬০ জন, তাদের বেশিরভাগই শিশু ও নারী।

আল জাজিরা বলছে, শনিবার ভোরে গাজা সিটির আল তুফাহ এলাকায় ইসরাইলের ভয়াবহ বিমান হামলায় কেঁপে ওঠে চারপাশ। বিস্ফোরণের সময় গাজাবাসী আশ্রয় নিচ্ছিল জাফা স্কুলের পাশে একটি বহুতল ভবনে। ভবনটির তিনটি তলা একসঙ্গে ধসে পড়ে। এ ঘটনায় শিশুসহ বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো অনেকে। পরিবারের আহাজারি আর ক্লান্তিমাখা চেহারায় শোকের আবহ ছড়িয়ে পড়ে উপত্যকাজুড়ে। ফিলিস্তিনের স্টেডিয়ামের পাশে আরও একটি আশ্রয় কেন্দ্রে ইসরাইলি বোমা হামলায় বেশ কয়েকজন হতাহত হন। হামলায় আহতদের অনেকেই শিফা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান।

তবে সময়মতো হাসপাতালে পৌঁছাতে পারলেও চিকিৎসা দিতে ব্যর্থ হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কেননা হাসপাতালের অর্ধেক কর্মী এরমধ্যেই নিহত বা গুম হয়েছেন। এছাড়া দেইর আল বালাহতে দুপুরের দিকে একটি রাস্তায় বোমার আঘাতে একসঙ্গে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। এদিকে ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গাজায় ইসরাইলি গণহত্যায় প্রায় ১ লাখ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই সংখ্যা অঞ্চলটির মোট জনসংখ্যার প্রায় চার শতাংশ।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ইসরাইলি হামলায় ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি, গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার পরোক্ষ প্রভাব যেমন: ক্ষুধা, ঠান্ডা এবং রোগ-ব্যাধির কারণেও অনেক মানুষ মারা গেছে। গাজায় ইসরাইলের এমন হত্যাযজ্ঞের মধ্যে মানবিক সহায়তা ঢুকছে সামান্য পরিমাণে। বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা ও রেড ক্রস জানায় মার্চের পর এবারই প্রথম কিছু চিকিৎসা সামগ্রী প্রবেশ করেছে গাজায়। কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনপি ছাড়লেন ড. ফয়জুল হক, ঝালকাঠী-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ার ঘোষণা

গাজায় ইসরায়েলি অবরোধ: অপুষ্টিতে ৬৬ শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু

আপডেট সময় ১১:২২:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

এবার ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলের চলমান অবরোধ ও হামলার মধ্যে অপুষ্টিতে অন্তত ৬৬ শিশু মারা গেছে। শনিবার (২৮ জুন) গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এ তথ্য জানিয়েছে। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার প্রশাসনের অভিযোগ দুধ, পুষ্টিকর খাদ্য এবং অন্যান্য মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দেয়াতেই এই সংকটের সৃষ্টি হয়েছে।

এক বিবৃতিতে গাজার মিডিয়া প্রশাসন জানিয়েছে, ইসরাইলের এই অবরোধ একটি যুদ্ধাপরাধ। বেসামরিক লোকদের নির্মূল করার জন্য পরিকল্পিতভাবে খাদ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের জন্যই এমন ঘটনা ঘটছে। এদিকে গাজার তুফাহ, দেইর আল বালাহ, রাফা, খান ইউনিসসহ বেশ কয়েকটি এলাকাতেই চলছে ইসরাইলি বিমান হামলা। শনিবার একদিনে নিহত হয়েছেন অন্তত ৬০ জন, তাদের বেশিরভাগই শিশু ও নারী।

আল জাজিরা বলছে, শনিবার ভোরে গাজা সিটির আল তুফাহ এলাকায় ইসরাইলের ভয়াবহ বিমান হামলায় কেঁপে ওঠে চারপাশ। বিস্ফোরণের সময় গাজাবাসী আশ্রয় নিচ্ছিল জাফা স্কুলের পাশে একটি বহুতল ভবনে। ভবনটির তিনটি তলা একসঙ্গে ধসে পড়ে। এ ঘটনায় শিশুসহ বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো অনেকে। পরিবারের আহাজারি আর ক্লান্তিমাখা চেহারায় শোকের আবহ ছড়িয়ে পড়ে উপত্যকাজুড়ে। ফিলিস্তিনের স্টেডিয়ামের পাশে আরও একটি আশ্রয় কেন্দ্রে ইসরাইলি বোমা হামলায় বেশ কয়েকজন হতাহত হন। হামলায় আহতদের অনেকেই শিফা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান।

তবে সময়মতো হাসপাতালে পৌঁছাতে পারলেও চিকিৎসা দিতে ব্যর্থ হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কেননা হাসপাতালের অর্ধেক কর্মী এরমধ্যেই নিহত বা গুম হয়েছেন। এছাড়া দেইর আল বালাহতে দুপুরের দিকে একটি রাস্তায় বোমার আঘাতে একসঙ্গে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। এদিকে ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গাজায় ইসরাইলি গণহত্যায় প্রায় ১ লাখ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই সংখ্যা অঞ্চলটির মোট জনসংখ্যার প্রায় চার শতাংশ।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ইসরাইলি হামলায় ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি, গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার পরোক্ষ প্রভাব যেমন: ক্ষুধা, ঠান্ডা এবং রোগ-ব্যাধির কারণেও অনেক মানুষ মারা গেছে। গাজায় ইসরাইলের এমন হত্যাযজ্ঞের মধ্যে মানবিক সহায়তা ঢুকছে সামান্য পরিমাণে। বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা ও রেড ক্রস জানায় মার্চের পর এবারই প্রথম কিছু চিকিৎসা সামগ্রী প্রবেশ করেছে গাজায়। কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয়।