নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বিজয় চত্বরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আয়োজিত এক পরিচিতি সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা ও খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম। রাজনৈতিক পরিচিতি ও অতীত কার্যকলাপের কারণে তার অতিথি হিসেবে উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
জাহাঙ্গীর আলম একাধিক নির্বাচনে বিরোধী দলের প্রার্থীদের ওপর হামলা, হয়রানি ও ভোট কারচুপির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে ২০২৩ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তার বিরুদ্ধে ভোটকেন্দ্র দখলের অভিযোগ ওঠে এবং ২০২৪ সালের ‘জুলাই আন্দোলন’ চলাকালেও তাকে বিরোধী দলের ওপর হামলার নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে বলে স্থানীয়রা দাবি করেন।
তার এই অতীত ভূমিকা সত্ত্বেও এনসিপির মতো বিকল্পধারার রাজনীতির মঞ্চে তাকে স্বাগত জানানো অনেকের কাছে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। আন্দোলনপন্থী নেতারা বলছেন, এ ধরনের মানুষদের রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসন করা আদর্শ ও মূল্যবোধের পরিপন্থী।
এনসিপির নীলফামারী জেলা কমিটির অন্যতম সংগঠক রাশেদুজ্জামান রাশেদ জানিয়েছেন, জাহাঙ্গীর আলম আওয়ামী লীগের সব পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন এবং জুলাই আন্দোলনে তিনি সরাসরি বিরোধিতা করেছিলেন কি না, তা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই। যদিও একাধিক সূত্র বলছে, আন্দোলন চলাকালে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করেছিলেন।
কমিটিতে আরও রয়েছেন নানা রাজনৈতিক অতীতসম্পন্ন ব্যক্তিরা, যাদের কেউ কেউ স্বীকার করেছেন যে তারা জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বা এখনো আছেন। কেউ কেউ ফেসবুকে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করলেও বিতর্ক থামছে না। অনেকে বলছেন, বিকল্প রাজনীতির নামে এসব ফ্যাসিস্ট চরিত্রের পুনরুৎ্থান আন্দোলনের শহীদদের প্রতি চরম অবমাননা।