ঢাকা ০৪:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘স্বৈরাচারের কাছে মাথানত করিনি’ — তরুণ আন্দোলননেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:১৩:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫
  • ৫২৫ বার পড়া হয়েছে

দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠকদের মধ্যে সাহসী ও চিন্তাশীল নেতৃত্বের প্রতীক হয়ে উঠেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের মেধাবী ছাত্র হিসেবেই তার রাজনৈতিক সক্রিয়তার সূচনা, কিন্তু অল্প সময়েই তিনি হয়ে ওঠেন জাতীয় ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের অন্যতম মুখ।

২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গড়ে ওঠা ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর প্রধান সমন্বয়কারীদের একজন ছিলেন হাসনাত। ওই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদবিরোধী যে গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়, তার কেন্দ্রীয় চরিত্রে উঠে আসেন এই তরুণ। রাজপথে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি বিতার্কিক হিসেবেও ছিল তার আলাদা খ্যাতি। শোষণবিরোধী যেকোনো আলোচনা-অনুষ্ঠানে তিনি যুক্তির দীপ্তি দিয়ে মন জয় করতেন সাধারণ মানুষের।

বাসস-এ দেওয়া এক সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমরা ৯ জুলাই ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে একটি কর্মসূচি ঘোষণা করি, যেটা সারা দেশের ছাত্র-জনতা ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ব্যাপক সমর্থন পায়। সেই দিন দেখেছি—বাংলাদেশের মানুষ তাদের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আবার রাজপথে দাঁড়িয়েছে।”

তিনি স্মরণ করেন, কীভাবে রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের শিকার হয়েছিলেন। পুলিশের হাতে বন্দিত্ব, নির্যাতন, ট্রমা—সবকিছুই মেনে নিয়েছিলেন দেশের মুক্তি ও স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার আশায়। “আমি শহীদ হতেও প্রস্তুত ছিলাম, কিন্তু স্বৈরাচারের সামনে মাথানত করিনি,” বলেন হাসনাত।

কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার গোপালনগর গ্রামের সন্তান হাসনাত তাঁর এলাকার তরুণদের মাঝেও অনুপ্রেরণার উৎস। একজন নেতৃত্বদানকারী সংগঠক হিসেবে ছাত্রজীবন থেকেই তিনি ছিলেন প্রশাসনিক স্বেচ্ছাচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপসহীন।

তিনি মনে করেন, “বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গড়ার দায়িত্ব তরুণদের হাতে। এই রাষ্ট্র শুধু শহীদদের রক্তের ফসল নয়, এটি আমাদের আদর্শিক সংগ্রামেরও ফল। ফ্যাসিবাদ ঠেকাতে হলে তরুণদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় হতে হবে।”

জনপ্রিয় সংবাদ

জামায়াতের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের মতবিনিময়, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি

‘স্বৈরাচারের কাছে মাথানত করিনি’ — তরুণ আন্দোলননেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ

আপডেট সময় ০৯:১৩:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠকদের মধ্যে সাহসী ও চিন্তাশীল নেতৃত্বের প্রতীক হয়ে উঠেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের মেধাবী ছাত্র হিসেবেই তার রাজনৈতিক সক্রিয়তার সূচনা, কিন্তু অল্প সময়েই তিনি হয়ে ওঠেন জাতীয় ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের অন্যতম মুখ।

২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গড়ে ওঠা ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর প্রধান সমন্বয়কারীদের একজন ছিলেন হাসনাত। ওই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদবিরোধী যে গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়, তার কেন্দ্রীয় চরিত্রে উঠে আসেন এই তরুণ। রাজপথে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি বিতার্কিক হিসেবেও ছিল তার আলাদা খ্যাতি। শোষণবিরোধী যেকোনো আলোচনা-অনুষ্ঠানে তিনি যুক্তির দীপ্তি দিয়ে মন জয় করতেন সাধারণ মানুষের।

বাসস-এ দেওয়া এক সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমরা ৯ জুলাই ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে একটি কর্মসূচি ঘোষণা করি, যেটা সারা দেশের ছাত্র-জনতা ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ব্যাপক সমর্থন পায়। সেই দিন দেখেছি—বাংলাদেশের মানুষ তাদের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আবার রাজপথে দাঁড়িয়েছে।”

তিনি স্মরণ করেন, কীভাবে রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের শিকার হয়েছিলেন। পুলিশের হাতে বন্দিত্ব, নির্যাতন, ট্রমা—সবকিছুই মেনে নিয়েছিলেন দেশের মুক্তি ও স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার আশায়। “আমি শহীদ হতেও প্রস্তুত ছিলাম, কিন্তু স্বৈরাচারের সামনে মাথানত করিনি,” বলেন হাসনাত।

কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার গোপালনগর গ্রামের সন্তান হাসনাত তাঁর এলাকার তরুণদের মাঝেও অনুপ্রেরণার উৎস। একজন নেতৃত্বদানকারী সংগঠক হিসেবে ছাত্রজীবন থেকেই তিনি ছিলেন প্রশাসনিক স্বেচ্ছাচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপসহীন।

তিনি মনে করেন, “বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গড়ার দায়িত্ব তরুণদের হাতে। এই রাষ্ট্র শুধু শহীদদের রক্তের ফসল নয়, এটি আমাদের আদর্শিক সংগ্রামেরও ফল। ফ্যাসিবাদ ঠেকাতে হলে তরুণদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় হতে হবে।”