ঢাকা ০৭:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গা বিতা’ড়ন ও মান’বাধিকার লঙ্ঘ’ন: ভারতের বি’রুদ্ধে জাতিসংঘের গুরু’তর অভি’যোগ

ভারতের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ দিন দিন তীব্র হচ্ছে। সম্প্রতি জাতিসংঘ ভারতের বিরুদ্ধে এক গুরুতর অভিযোগ এনেছে—৪০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে সাগরে ফেলে দেওয়ার মতো অমানবিক ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে দেশটির বিরুদ্ধে। এই কাজ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও নৈতিকতার চরম লঙ্ঘন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

জাতিসংঘের বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুস এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়ে ভারত সরকারের কাছে স্পষ্ট ব্যাখ্যা চেয়েছেন। ঘটনাটি শুধু একটি মানবিক সংকট নয়, বরং এটি দক্ষিণ এশিয়ায় ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে ফেলছে।

ভারতের অভ্যন্তরীণ নীতি—বিশেষ করে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (NRC)—ইতিমধ্যেই বহু বিতর্ক ও প্রতিবাদ উস্কে দিয়েছে। এসব নীতি এবং বারবার সংখ্যালঘু ও উদ্বাস্তুদের প্রতি কড়া মনোভাব আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের ভাবমূর্তিকে নাড়া দিচ্ছে।

এই ঘটনার প্রভাব শুধু ভারতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশ, বিশেষ করে বাংলাদেশ, এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ও মানবাধিকার রক্ষার ব্যাপারে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

এই প্রতিবেদন একটি শক্তিশালী বার্তা দেয়: মানবাধিকারের আন্তর্জাতিক মান ও নীতিগুলো উপেক্ষা করলে তার প্রভাব শুধু একদেশে নয়, গোটা অঞ্চলের ওপর পড়ে। এখন বিশ্ব অপেক্ষায়, ভারত কীভাবে এই সংকটে প্রতিক্রিয়া জানাবে—মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করবে নাকি মানবাধিকার লঙ্ঘনের আরও গভীরে ডুবে যাবে?

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রফেসর ইউনূস সম্মানিত ব্যক্তিত্ব, তাঁকে ঘিরে ‘বিষ বলয়’ সৃষ্টি হয়েছে: আল জাজিরার সাংবাদিক জুলকার নাইন সায়ের

রোহিঙ্গা বিতা’ড়ন ও মান’বাধিকার লঙ্ঘ’ন: ভারতের বি’রুদ্ধে জাতিসংঘের গুরু’তর অভি’যোগ

আপডেট সময় ০৯:২৪:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

ভারতের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ দিন দিন তীব্র হচ্ছে। সম্প্রতি জাতিসংঘ ভারতের বিরুদ্ধে এক গুরুতর অভিযোগ এনেছে—৪০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে সাগরে ফেলে দেওয়ার মতো অমানবিক ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে দেশটির বিরুদ্ধে। এই কাজ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও নৈতিকতার চরম লঙ্ঘন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

জাতিসংঘের বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুস এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়ে ভারত সরকারের কাছে স্পষ্ট ব্যাখ্যা চেয়েছেন। ঘটনাটি শুধু একটি মানবিক সংকট নয়, বরং এটি দক্ষিণ এশিয়ায় ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে ফেলছে।

ভারতের অভ্যন্তরীণ নীতি—বিশেষ করে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (NRC)—ইতিমধ্যেই বহু বিতর্ক ও প্রতিবাদ উস্কে দিয়েছে। এসব নীতি এবং বারবার সংখ্যালঘু ও উদ্বাস্তুদের প্রতি কড়া মনোভাব আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের ভাবমূর্তিকে নাড়া দিচ্ছে।

এই ঘটনার প্রভাব শুধু ভারতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশ, বিশেষ করে বাংলাদেশ, এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ও মানবাধিকার রক্ষার ব্যাপারে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

এই প্রতিবেদন একটি শক্তিশালী বার্তা দেয়: মানবাধিকারের আন্তর্জাতিক মান ও নীতিগুলো উপেক্ষা করলে তার প্রভাব শুধু একদেশে নয়, গোটা অঞ্চলের ওপর পড়ে। এখন বিশ্ব অপেক্ষায়, ভারত কীভাবে এই সংকটে প্রতিক্রিয়া জানাবে—মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করবে নাকি মানবাধিকার লঙ্ঘনের আরও গভীরে ডুবে যাবে?