ঢাকা ১০:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৭৬ লাখ টাকার কনসার্ট আয়োজন নিয়ে বিতর্ক, সাবেক সমন্বয়কের চিঠি ভাইরাল

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৯:৩৯:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫
  • ৫৩৪ বার পড়া হয়েছে

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি স্মরণে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘৩৬ জুলাই : মুক্তির উৎসব’ কনসার্ট আয়োজন ঘিরে শুরু হয়েছে ব্যাপক বিতর্ক ও সমালোচনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার ৭০টি প্রতিষ্ঠানে ৭৬ লাখ টাকা অনুদানের চিঠি পাঠানোর ঘটনায় তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন।

৫ আগস্ট অনুষ্ঠেয় এই উৎসবের জন্য রাজশাহী সিটি করপোরেশন ইতোমধ্যে দুই লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া চিঠিতে দেখা গেছে, অনুষ্ঠানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব ‘জোরালো সুপারিশ’ করেছেন। যদিও তিনি দাবি করেছেন, “বিশ্ববিদ্যালয় কোনো অর্থ সহায়তা করবে না—সেটি আমি আগেই বলেছি। শুধু সুপারিশ করেছি, যেটা অতীতেও অনেক সংগঠনের জন্য করেছি।”

অনুষ্ঠানের আয়োজকরা বলছেন, ‘এই আয়োজন তরুণদের উৎসাহিত করতে এবং শহীদদের আত্মত্যাগের স্মরণে।’ তবে ছাত্রদলসহ একাংশ একে ‘ঘুরিয়ে চাঁদাবাজি’ বলেও অভিযোগ তুলেছে।

সালাউদ্দিন আম্মার দাবি, “বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিকভাবে নোংরামি করা হচ্ছে। অথচ প্রাণ-আরএফএল, ওয়ালটন, যমুনা ব্যাংকসহ বহু প্রতিষ্ঠানে যথাযথ নিয়মে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। উপাচার্য স্যারের সুপারিশ ছিল প্রতিটি প্রপোজালে।”

আরেক আয়োজক কে এস কে হৃদয় বলেন, “স্পন্সর প্রথা নতুন কিছু না। যুগ যুগ ধরে সামাজিক আয়োজনগুলো এভাবেই হয়। বিশ্ববিদ্যালয়, বইমেলা, কনফারেন্স—সবই তো এভাবে চলে।”

তবে বিষয়টি নিয়ে মতভেদ স্পষ্ট। কেউ বলছেন, এটি সম্মানজনক উদ্যোগ, আবার কেউ বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ব্যবহার করে এইভাবে অর্থ সংগ্রহ করা প্রশ্নবিদ্ধ।

জনপ্রিয় সংবাদ

সারাদেশে ২১ নেতাকে বহিষ্কার করল বিএনপি

৭৬ লাখ টাকার কনসার্ট আয়োজন নিয়ে বিতর্ক, সাবেক সমন্বয়কের চিঠি ভাইরাল

আপডেট সময় ০৯:৩৯:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি স্মরণে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘৩৬ জুলাই : মুক্তির উৎসব’ কনসার্ট আয়োজন ঘিরে শুরু হয়েছে ব্যাপক বিতর্ক ও সমালোচনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার ৭০টি প্রতিষ্ঠানে ৭৬ লাখ টাকা অনুদানের চিঠি পাঠানোর ঘটনায় তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন।

৫ আগস্ট অনুষ্ঠেয় এই উৎসবের জন্য রাজশাহী সিটি করপোরেশন ইতোমধ্যে দুই লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া চিঠিতে দেখা গেছে, অনুষ্ঠানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব ‘জোরালো সুপারিশ’ করেছেন। যদিও তিনি দাবি করেছেন, “বিশ্ববিদ্যালয় কোনো অর্থ সহায়তা করবে না—সেটি আমি আগেই বলেছি। শুধু সুপারিশ করেছি, যেটা অতীতেও অনেক সংগঠনের জন্য করেছি।”

অনুষ্ঠানের আয়োজকরা বলছেন, ‘এই আয়োজন তরুণদের উৎসাহিত করতে এবং শহীদদের আত্মত্যাগের স্মরণে।’ তবে ছাত্রদলসহ একাংশ একে ‘ঘুরিয়ে চাঁদাবাজি’ বলেও অভিযোগ তুলেছে।

সালাউদ্দিন আম্মার দাবি, “বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিকভাবে নোংরামি করা হচ্ছে। অথচ প্রাণ-আরএফএল, ওয়ালটন, যমুনা ব্যাংকসহ বহু প্রতিষ্ঠানে যথাযথ নিয়মে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। উপাচার্য স্যারের সুপারিশ ছিল প্রতিটি প্রপোজালে।”

আরেক আয়োজক কে এস কে হৃদয় বলেন, “স্পন্সর প্রথা নতুন কিছু না। যুগ যুগ ধরে সামাজিক আয়োজনগুলো এভাবেই হয়। বিশ্ববিদ্যালয়, বইমেলা, কনফারেন্স—সবই তো এভাবে চলে।”

তবে বিষয়টি নিয়ে মতভেদ স্পষ্ট। কেউ বলছেন, এটি সম্মানজনক উদ্যোগ, আবার কেউ বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ব্যবহার করে এইভাবে অর্থ সংগ্রহ করা প্রশ্নবিদ্ধ।