ঢাকা ০১:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেঙ্গালুরুর রাস্তায় প্রাক্তন ব্যাংক কর্মীর অসহায় জীবন, হাতে চিরকুটে সাহায্যের আবেদন

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:০৯:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৬০০ বার পড়া হয়েছে

ভারতের বেঙ্গালুরুর ব্যস্ত শহরের এক মোড়ে দেখা মিলেছে এক প্রাক্তন ব্যাংক কর্মীর। পাশে রাখা ব্যাকপ্যাক আর হাতে ধরা একটি চিরকুটে লেখা— “১৪ বছর ধরে ব্যাংকে চাকরি করার পর এখন বেকার আমি, থাকার জায়গাও নেই। চাই সাহায্য।” তার পাশে রাখা একটি ছোট কাগজে কিউআর কোডও ছিল, যা ডিজিটাল অনুদানের জন্য ব্যবহার করা হতে পারে।

এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই হৃদয়বিদারক দৃশ্যের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রেডিটে শেয়ার করেন এক ব্যবহারকারী। তিনি লেখেন, “বেঙ্গালুরুর এক সিগন্যালে এই মানুষটির সঙ্গে দেখা হলো। বিষয়টি কি সমাজের ব্যর্থতা, নাকি তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের ফলে পাওয়া দুর্ভাগ্য?”

রেডিটে পোস্টটি দ্রুত ভাইরাল হয় এবং নেটিজেনদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। কেউ সহানুভূতি প্রকাশ করে বলেন, দেশের কঠিন বাস্তবতা হলো কলেজ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের মাত্র ১%-এর জন্যও চাকরি নেই। আবার কেউ সমালোচনা করে প্রশ্ন তোলেন, শারীরিকভাবে সক্ষম হয়েও বেঙ্গালুরুর মতো শহরে কেন কাজ খুঁজে নেওয়া সম্ভব হয়নি।

অন্যদিকে আরেকজন মন্তব্য করেন, “শারীরিকভাবে সক্ষম হলে ডেলিভারি বা ড্রাইভিংয়ের মতো কাজ করা সম্ভব। তবে দীর্ঘদিন বেকার থাকলে মানুষ মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে, বিষণ্ণতায় ভোগে— সেটিও বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়।”

সূত্র: এনডিটিভি

জনপ্রিয় সংবাদ

চন্দ্রগ্রহণের লাল চাঁদ খালি চোখে দেখলে কিছু হবে?

বেঙ্গালুরুর রাস্তায় প্রাক্তন ব্যাংক কর্মীর অসহায় জীবন, হাতে চিরকুটে সাহায্যের আবেদন

আপডেট সময় ১০:০৯:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ভারতের বেঙ্গালুরুর ব্যস্ত শহরের এক মোড়ে দেখা মিলেছে এক প্রাক্তন ব্যাংক কর্মীর। পাশে রাখা ব্যাকপ্যাক আর হাতে ধরা একটি চিরকুটে লেখা— “১৪ বছর ধরে ব্যাংকে চাকরি করার পর এখন বেকার আমি, থাকার জায়গাও নেই। চাই সাহায্য।” তার পাশে রাখা একটি ছোট কাগজে কিউআর কোডও ছিল, যা ডিজিটাল অনুদানের জন্য ব্যবহার করা হতে পারে।

এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই হৃদয়বিদারক দৃশ্যের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রেডিটে শেয়ার করেন এক ব্যবহারকারী। তিনি লেখেন, “বেঙ্গালুরুর এক সিগন্যালে এই মানুষটির সঙ্গে দেখা হলো। বিষয়টি কি সমাজের ব্যর্থতা, নাকি তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের ফলে পাওয়া দুর্ভাগ্য?”

রেডিটে পোস্টটি দ্রুত ভাইরাল হয় এবং নেটিজেনদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। কেউ সহানুভূতি প্রকাশ করে বলেন, দেশের কঠিন বাস্তবতা হলো কলেজ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের মাত্র ১%-এর জন্যও চাকরি নেই। আবার কেউ সমালোচনা করে প্রশ্ন তোলেন, শারীরিকভাবে সক্ষম হয়েও বেঙ্গালুরুর মতো শহরে কেন কাজ খুঁজে নেওয়া সম্ভব হয়নি।

অন্যদিকে আরেকজন মন্তব্য করেন, “শারীরিকভাবে সক্ষম হলে ডেলিভারি বা ড্রাইভিংয়ের মতো কাজ করা সম্ভব। তবে দীর্ঘদিন বেকার থাকলে মানুষ মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে, বিষণ্ণতায় ভোগে— সেটিও বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়।”

সূত্র: এনডিটিভি