ঢাকা ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আবু সাঈদ হত্যা মামলায় হাসিনা–আসাদুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ডে শহীদ পরিবারের সন্তোষ; দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৬:৪৩:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫৪৭ বার পড়া হয়েছে

 

মানবতাবিরোধী অপরাধে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে শহীদ আবু সাঈদের পরিবার। রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় শহীদ আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী পরিবারের পক্ষ থেকে বলেন, “আমরা এ রায়ে খুশি হয়েছি। তবে রায় যেন দ্রুত কার্যকর করা হয়।”

আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন বলেন, “শুধু রায় ঘোষণা করেই যেন শেষ না হয়। দণ্ডপ্রাপ্তদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় দ্রুত কার্যকর করতে হবে।”
মা মনোয়ারা বেগমের কথায়, “ছেলেকে হারানোর শূন্যতা কখনো পূরণ হবার নয়। আমার মতো যেন আর কোনো মায়ের বুক খালি না হয়; তাই দ্রুত রায় কার্যকর করা জরুরি।”

সোমবার দুপুরে বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলার রায় ঘোষণা করে।

মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, শেখ হাসিনার নির্দেশে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় মারণাস্ত্র ব্যবহার করে দেড় হাজার নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা এবং ৩০ হাজারকে আহত করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়—উসকানিমূলক বক্তব্য, প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে হত্যা, চানখাঁরপুলে ছয়জনকে গুলি করে হত্যা এবং আশুলিয়ায় ছয়জনকে পুড়িয়ে হত্যা।

২০২৪ সালের ১৬ জুলাই রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে নিহত হন কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। তার প্রকাশ্যে গুলি করার ভিডিও ভাইরাল হলে সারাদেশে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে এবং ৫ আগস্ট পতন ঘটে তৎকালীন সরকারের।

জনপ্রিয় সংবাদ

আবু সাঈদ হত্যা মামলায় হাসিনা–আসাদুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ডে শহীদ পরিবারের সন্তোষ; দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি

আপডেট সময় ০৬:৪৩:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

 

মানবতাবিরোধী অপরাধে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে শহীদ আবু সাঈদের পরিবার। রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় শহীদ আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী পরিবারের পক্ষ থেকে বলেন, “আমরা এ রায়ে খুশি হয়েছি। তবে রায় যেন দ্রুত কার্যকর করা হয়।”

আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন বলেন, “শুধু রায় ঘোষণা করেই যেন শেষ না হয়। দণ্ডপ্রাপ্তদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় দ্রুত কার্যকর করতে হবে।”
মা মনোয়ারা বেগমের কথায়, “ছেলেকে হারানোর শূন্যতা কখনো পূরণ হবার নয়। আমার মতো যেন আর কোনো মায়ের বুক খালি না হয়; তাই দ্রুত রায় কার্যকর করা জরুরি।”

সোমবার দুপুরে বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলার রায় ঘোষণা করে।

মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, শেখ হাসিনার নির্দেশে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় মারণাস্ত্র ব্যবহার করে দেড় হাজার নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা এবং ৩০ হাজারকে আহত করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়—উসকানিমূলক বক্তব্য, প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে হত্যা, চানখাঁরপুলে ছয়জনকে গুলি করে হত্যা এবং আশুলিয়ায় ছয়জনকে পুড়িয়ে হত্যা।

২০২৪ সালের ১৬ জুলাই রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে নিহত হন কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। তার প্রকাশ্যে গুলি করার ভিডিও ভাইরাল হলে সারাদেশে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে এবং ৫ আগস্ট পতন ঘটে তৎকালীন সরকারের।