ঢাকা ০৩:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিজ ভূখণ্ডে প্রথমবার জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালালো জাপান

জাপান প্রথমবারের মতো নিজস্ব ভূখণ্ডে ভূমি থেকে জাহাজ লক্ষ্য করে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। উত্তরাঞ্চলীয় হোক্কাইডো দ্বীপের সামরিক ঘাঁটি থেকে টাইপ-৮৮ ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করে দেশটির গ্রাউন্ড সেলফ-ডিফেন্স ফোর্স (জিজিএসডিএফ)। প্রশিক্ষণমূলক এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলে নির্ধারিত লক্ষ্যে আঘাত হানে।

দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে,

“বর্তমান কঠিন নিরাপত্তা বাস্তবতায় সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সেনাদের প্রশিক্ষণের জন্য এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মহড়া।”

সাধারণত জাপান এ ধরনের লাইভ-ফায়ার মহড়া যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিতে চালিয়ে আসছিল। তবে ব্যয়বহুল এবং সীমিত অংশগ্রহণের কারণে জাপান এবার নিজস্ব ভূখণ্ডে মহড়া চালানোর কৌশল নিয়েছে। জাপানি ইয়েনের অবমূল্যায়নের কারণে আন্তর্জাতিক মহড়ার ব্যয় বেড়ে যাওয়াও এতে ভূমিকা রেখেছে।

সরকারের মুখপাত্র ইয়োশিমাসা হায়াশি বলেন,

“নিজ দেশে এই ধরনের মহড়া বেশি সংখ্যক সেনাকে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়। একইসঙ্গে দ্বীপ ও উপকূলীয় প্রতিরক্ষায় তা অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখবে।”

যদিও জাপান সরকার স্পষ্টভাবে জানায়নি যে, এই মহড়াটি কোনো নির্দিষ্ট দেশের বিরুদ্ধে নয়, তবে পূর্ববর্তী নীতিগত বিবৃতিতে চীনকে ‘সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা হুমকি’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, চীনের আঞ্চলিক আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টার, বিশেষ করে তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের আগ্রাসী কৌশলের প্রেক্ষিতে জাপান তার প্রতিরক্ষা নীতিতে বড় পরিবর্তন এনেছে।

জাপান বর্তমানে একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রতিরক্ষা কৌশল অনুসরণ করছে, যার অংশ হিসেবে দেশটি তার সামরিক ব্যয় জিডিপির ২ শতাংশে উন্নীত করতে চায়—যা ন্যাটো স্ট্যান্ডার্ডের সমান।

পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা চুক্তি জোরদার করার পদক্ষেপও চলমান রয়েছে, যাতে আঞ্চলিক উত্তেজনার সময় দ্রুত ও যৌথ প্রতিক্রিয়া জানানো সম্ভব হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

ভোটে অনিয়মে পুরো আসনের নির্বাচন বাতিলের ক্ষমতা ফেরত চায় ইসি

নিজ ভূখণ্ডে প্রথমবার জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালালো জাপান

আপডেট সময় ০৯:১৬:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

জাপান প্রথমবারের মতো নিজস্ব ভূখণ্ডে ভূমি থেকে জাহাজ লক্ষ্য করে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। উত্তরাঞ্চলীয় হোক্কাইডো দ্বীপের সামরিক ঘাঁটি থেকে টাইপ-৮৮ ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করে দেশটির গ্রাউন্ড সেলফ-ডিফেন্স ফোর্স (জিজিএসডিএফ)। প্রশিক্ষণমূলক এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলে নির্ধারিত লক্ষ্যে আঘাত হানে।

দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে,

“বর্তমান কঠিন নিরাপত্তা বাস্তবতায় সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সেনাদের প্রশিক্ষণের জন্য এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মহড়া।”

সাধারণত জাপান এ ধরনের লাইভ-ফায়ার মহড়া যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিতে চালিয়ে আসছিল। তবে ব্যয়বহুল এবং সীমিত অংশগ্রহণের কারণে জাপান এবার নিজস্ব ভূখণ্ডে মহড়া চালানোর কৌশল নিয়েছে। জাপানি ইয়েনের অবমূল্যায়নের কারণে আন্তর্জাতিক মহড়ার ব্যয় বেড়ে যাওয়াও এতে ভূমিকা রেখেছে।

সরকারের মুখপাত্র ইয়োশিমাসা হায়াশি বলেন,

“নিজ দেশে এই ধরনের মহড়া বেশি সংখ্যক সেনাকে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়। একইসঙ্গে দ্বীপ ও উপকূলীয় প্রতিরক্ষায় তা অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখবে।”

যদিও জাপান সরকার স্পষ্টভাবে জানায়নি যে, এই মহড়াটি কোনো নির্দিষ্ট দেশের বিরুদ্ধে নয়, তবে পূর্ববর্তী নীতিগত বিবৃতিতে চীনকে ‘সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা হুমকি’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, চীনের আঞ্চলিক আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টার, বিশেষ করে তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের আগ্রাসী কৌশলের প্রেক্ষিতে জাপান তার প্রতিরক্ষা নীতিতে বড় পরিবর্তন এনেছে।

জাপান বর্তমানে একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রতিরক্ষা কৌশল অনুসরণ করছে, যার অংশ হিসেবে দেশটি তার সামরিক ব্যয় জিডিপির ২ শতাংশে উন্নীত করতে চায়—যা ন্যাটো স্ট্যান্ডার্ডের সমান।

পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা চুক্তি জোরদার করার পদক্ষেপও চলমান রয়েছে, যাতে আঞ্চলিক উত্তেজনার সময় দ্রুত ও যৌথ প্রতিক্রিয়া জানানো সম্ভব হয়।