ঢাকা ০৬:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খামেনি বললেন: ‘আমেরিকার মুখে কঠিন থাপ্পড় মেরেছে ইরান’ — যুদ্ধজয়ের ঘোষণা সর্বোচ্চ নেতার

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৬:৩২:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
  • ৫৫৪ বার পড়া হয়েছে

ইরান ‘আমেরিকার মুখে এক কঠিন থাপ্পড়’ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিবিসির বরাতে জানা যায়, ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ পরবর্তী এই মন্তব্যে তিনি বলেন, “ইরান যুদ্ধে বিজয়ী হয়েছে, আর যুক্তরাষ্ট্র কোনো সফলতা পায়নি।”

খামেনি আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়েছে এই ভেবে যে ইহুদিবাদী শাসন সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যাবে। কিন্তু সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।” তিনি ইসরায়েলকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, “ভ্রান্ত ইহুদিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে বিজয়ের জন্য অভিনন্দন।”

প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ৮৬ বছর বয়সী খামেনি প্রাণনাশের আশঙ্কায় তেহরানের নিয়মিত বাসভবন ছেড়ে গোপন নিরাপদ বাংকারে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখান থেকে তিনি সকল ধরনের ইলেকট্রনিক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছেন। এমনকি দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তারাও তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি।

যুদ্ধবিরতির পর তিনি এখনো প্রকাশ্যে আসেননি। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘ যুদ্ধ দেশটির পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে। প্রকাশ্যে আসার পর খামেনি এক যুদ্ধবিধ্বস্ত, ক্ষুব্ধ ও ভিন্ন চেহারার ইরান দেখবেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কাতারের আমিরের মধ্যস্থতায় ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে। তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইঙ্গিত দিয়েছেন, খামেনিকে হত্যার সম্ভাবনা এখনো পুরোপুরি নাকচ করা যায় না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, খামেনি যখন প্রকাশ্যে আসবেন, তিনি হয়তো টেলিভিশনে বিজয়ের ঘোষণা দেবেন, তবে তাকে নতুন বাস্তবতার কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ভোটে অনিয়মে পুরো আসনের নির্বাচন বাতিলের ক্ষমতা ফেরত চায় ইসি

খামেনি বললেন: ‘আমেরিকার মুখে কঠিন থাপ্পড় মেরেছে ইরান’ — যুদ্ধজয়ের ঘোষণা সর্বোচ্চ নেতার

আপডেট সময় ০৬:৩২:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

ইরান ‘আমেরিকার মুখে এক কঠিন থাপ্পড়’ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিবিসির বরাতে জানা যায়, ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ পরবর্তী এই মন্তব্যে তিনি বলেন, “ইরান যুদ্ধে বিজয়ী হয়েছে, আর যুক্তরাষ্ট্র কোনো সফলতা পায়নি।”

খামেনি আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়েছে এই ভেবে যে ইহুদিবাদী শাসন সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যাবে। কিন্তু সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।” তিনি ইসরায়েলকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, “ভ্রান্ত ইহুদিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে বিজয়ের জন্য অভিনন্দন।”

প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ৮৬ বছর বয়সী খামেনি প্রাণনাশের আশঙ্কায় তেহরানের নিয়মিত বাসভবন ছেড়ে গোপন নিরাপদ বাংকারে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখান থেকে তিনি সকল ধরনের ইলেকট্রনিক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছেন। এমনকি দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তারাও তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি।

যুদ্ধবিরতির পর তিনি এখনো প্রকাশ্যে আসেননি। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘ যুদ্ধ দেশটির পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে। প্রকাশ্যে আসার পর খামেনি এক যুদ্ধবিধ্বস্ত, ক্ষুব্ধ ও ভিন্ন চেহারার ইরান দেখবেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কাতারের আমিরের মধ্যস্থতায় ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে। তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইঙ্গিত দিয়েছেন, খামেনিকে হত্যার সম্ভাবনা এখনো পুরোপুরি নাকচ করা যায় না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, খামেনি যখন প্রকাশ্যে আসবেন, তিনি হয়তো টেলিভিশনে বিজয়ের ঘোষণা দেবেন, তবে তাকে নতুন বাস্তবতার কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে।