ঢাকা ০৬:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলা ১৫ বছরের পরিকল্পনার ‘চূড়ান্ত পরিণতি’: মার্কিন জেনারেল

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ০৭:২২:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
  • ৫৩৭ বার পড়া হয়েছে

ইরানের বিতর্কিত ফোর্দো পারমাণবিক স্থাপনায় পরিচালিত ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ ছিল ১৫ বছরের দীর্ঘ প্রস্তুতির ফল—এমন মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের প্রধান জেনারেল ড্যান কেইন। তিনি বলেন, “এই অভিযানে ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো বিশেষভাবে ফোর্দো পারমাণবিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করেই ডিজাইন, পরিকল্পনা ও সরবরাহ করা হয়েছিল।”

জেনারেল কেইন জানান, অপারেশন চলাকালে তারা দুটি ভেন্টিলেশন শ্যাফ্টকে নিশানা করে হামলা চালান। তার ভাষায়, “ইরানি কর্তৃপক্ষ আগেই বুঝতে পেরেছিল এই শ্যাফ্টগুলোই দুর্বল পয়েন্ট হতে পারে। তাই এগুলো কংক্রিট দিয়ে ঢেকে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল তারা।” তবে যুক্তরাষ্ট্রের আধুনিক বোমা প্রযুক্তি সেই প্রতিরক্ষা ভেদ করে আঘাত হানতে সক্ষম হয় বলে দাবি করেন তিনি।

অপারেশনের সময় মোট ছয়টি বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল বলে নিশ্চিত করেন কেইন। প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি সেগুলোর একটি ভিডিও ফুটেজও প্রদর্শন করেন, যেখানে স্পষ্ট দেখা যায় ভূপৃষ্ঠে বিস্ফোরণের দৃশ্য এবং টার্গেট নির্ভুলভাবে আঘাত হানার প্রক্রিয়া।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই স্বীকারোক্তি মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। কারণ ইরান ইতোমধ্যেই এই হামলাকে তার সার্বভৌমত্বে সরাসরি হস্তক্ষেপ বলে আখ্যা দিয়েছে এবং প্রতিশোধমূলক জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ শুধু সামরিক নয়, কূটনৈতিক অঙ্গনেও প্রবল প্রতিক্রিয়া তৈরি করছে। ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ এখন শুধু একটি সামরিক অভিযান নয়, বরং পরাশক্তিদের নতুন ঠাণ্ডা যুদ্ধের এক প্রতীক হিসেবে পরিগণিত হতে যাচ্ছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ভোটে অনিয়মে পুরো আসনের নির্বাচন বাতিলের ক্ষমতা ফেরত চায় ইসি

ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলা ১৫ বছরের পরিকল্পনার ‘চূড়ান্ত পরিণতি’: মার্কিন জেনারেল

আপডেট সময় ০৭:২২:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

ইরানের বিতর্কিত ফোর্দো পারমাণবিক স্থাপনায় পরিচালিত ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ ছিল ১৫ বছরের দীর্ঘ প্রস্তুতির ফল—এমন মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের প্রধান জেনারেল ড্যান কেইন। তিনি বলেন, “এই অভিযানে ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো বিশেষভাবে ফোর্দো পারমাণবিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করেই ডিজাইন, পরিকল্পনা ও সরবরাহ করা হয়েছিল।”

জেনারেল কেইন জানান, অপারেশন চলাকালে তারা দুটি ভেন্টিলেশন শ্যাফ্টকে নিশানা করে হামলা চালান। তার ভাষায়, “ইরানি কর্তৃপক্ষ আগেই বুঝতে পেরেছিল এই শ্যাফ্টগুলোই দুর্বল পয়েন্ট হতে পারে। তাই এগুলো কংক্রিট দিয়ে ঢেকে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল তারা।” তবে যুক্তরাষ্ট্রের আধুনিক বোমা প্রযুক্তি সেই প্রতিরক্ষা ভেদ করে আঘাত হানতে সক্ষম হয় বলে দাবি করেন তিনি।

অপারেশনের সময় মোট ছয়টি বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল বলে নিশ্চিত করেন কেইন। প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি সেগুলোর একটি ভিডিও ফুটেজও প্রদর্শন করেন, যেখানে স্পষ্ট দেখা যায় ভূপৃষ্ঠে বিস্ফোরণের দৃশ্য এবং টার্গেট নির্ভুলভাবে আঘাত হানার প্রক্রিয়া।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই স্বীকারোক্তি মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। কারণ ইরান ইতোমধ্যেই এই হামলাকে তার সার্বভৌমত্বে সরাসরি হস্তক্ষেপ বলে আখ্যা দিয়েছে এবং প্রতিশোধমূলক জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ শুধু সামরিক নয়, কূটনৈতিক অঙ্গনেও প্রবল প্রতিক্রিয়া তৈরি করছে। ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ এখন শুধু একটি সামরিক অভিযান নয়, বরং পরাশক্তিদের নতুন ঠাণ্ডা যুদ্ধের এক প্রতীক হিসেবে পরিগণিত হতে যাচ্ছে।