ঢাকা ১০:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“যুদ্ধ আমাদের ঈমানি শক্তি বাড়ায়” — ক্বোমের আলেমদের কণ্ঠে ইরানের বার্তা: জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে আপস নয়

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১১:১৩:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
  • ৫২৫ বার পড়া হয়েছে

জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তা প্রশ্নে কোনো আপস নয়—এমন কঠোর বার্তা দিয়েছে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে দেশটির রাজনৈতিক ও ধর্মীয় কেন্দ্রে এমন ঘোষণা এসেছে। কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ শহর ক্বোমে অবস্থানরত শীর্ষ আলেমরা বলছেন, যুদ্ধ তাদের ঈমানি শক্তি আরও দৃঢ় করেছে। সিএনএনের এক বিশেষ প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) এই তথ্য উঠে এসেছে।

ইরানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পবিত্র স্থান, হজরত ফাতিমা মাসুমা (সা.)-এর মাজার, ক্বোম শহরে অবস্থিত। এখান থেকেই বহু ইসলামি মতবাদ ও আদর্শের জন্ম হয়, যা দেশের নীতিনির্ধারণ ও প্রতিরোধ রাজনীতিতে বড় প্রভাব রাখে। ক্বোমকে শুধু ধর্মীয় শহর নয়, বরং একটি চিন্তার ঘাঁটি ও আদর্শিক নেতৃত্বকেন্দ্র বলেই বিবেচনা করা হয়।

সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্থানীয় এক আলেম বলেন,
“তারা (যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল) ভাবে বোমা ও সন্ত্রাস দিয়ে আমাদের দমিয়ে দেবে। অথচ এগুলো আমাদের বিশ্বাসকে আরও শক্তিশালী করে। যদি ট্রাম্পের সত্যিকারের সদিচ্ছা থাকে, তবে অন্য দেশের অভ্যন্তরে হস্তক্ষেপ বন্ধ করা উচিত।”

আরেকজন আলেম বলেন,
“আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন—যারা তার ওপর ঈমান রাখে, তাদের শত্রুদের নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হয়। আমরা সেই বিশ্বাস নিয়েই প্রতিরোধ করছি।”

রাজনৈতিক দিক ছাড়াও, ক্বোম প্রদেশে অবস্থিত ফোর্দো পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র ইরানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু স্থাপনা। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র বাঙ্কার-বাস্টার বোমা ব্যবহার করে ওই স্থাপনা আঘাত করেছে। যদিও ইরান তা আংশিক স্বীকার করে জানিয়েছে—কেন্দ্রটি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়নি এবং এখনো সচল রয়েছে।

ইরানের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে—পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ তাদের সার্বভৌম অধিকার এবং কোনো হুমকি, নিষেধাজ্ঞা কিংবা আগ্রাসন তাদের সেই অধিকার থেকে সরাতে পারবে না।

জনপ্রিয় সংবাদ

ভোটে অনিয়মে পুরো আসনের নির্বাচন বাতিলের ক্ষমতা ফেরত চায় ইসি

“যুদ্ধ আমাদের ঈমানি শক্তি বাড়ায়” — ক্বোমের আলেমদের কণ্ঠে ইরানের বার্তা: জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে আপস নয়

আপডেট সময় ১১:১৩:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তা প্রশ্নে কোনো আপস নয়—এমন কঠোর বার্তা দিয়েছে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে দেশটির রাজনৈতিক ও ধর্মীয় কেন্দ্রে এমন ঘোষণা এসেছে। কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ শহর ক্বোমে অবস্থানরত শীর্ষ আলেমরা বলছেন, যুদ্ধ তাদের ঈমানি শক্তি আরও দৃঢ় করেছে। সিএনএনের এক বিশেষ প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) এই তথ্য উঠে এসেছে।

ইরানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পবিত্র স্থান, হজরত ফাতিমা মাসুমা (সা.)-এর মাজার, ক্বোম শহরে অবস্থিত। এখান থেকেই বহু ইসলামি মতবাদ ও আদর্শের জন্ম হয়, যা দেশের নীতিনির্ধারণ ও প্রতিরোধ রাজনীতিতে বড় প্রভাব রাখে। ক্বোমকে শুধু ধর্মীয় শহর নয়, বরং একটি চিন্তার ঘাঁটি ও আদর্শিক নেতৃত্বকেন্দ্র বলেই বিবেচনা করা হয়।

সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্থানীয় এক আলেম বলেন,
“তারা (যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল) ভাবে বোমা ও সন্ত্রাস দিয়ে আমাদের দমিয়ে দেবে। অথচ এগুলো আমাদের বিশ্বাসকে আরও শক্তিশালী করে। যদি ট্রাম্পের সত্যিকারের সদিচ্ছা থাকে, তবে অন্য দেশের অভ্যন্তরে হস্তক্ষেপ বন্ধ করা উচিত।”

আরেকজন আলেম বলেন,
“আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন—যারা তার ওপর ঈমান রাখে, তাদের শত্রুদের নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হয়। আমরা সেই বিশ্বাস নিয়েই প্রতিরোধ করছি।”

রাজনৈতিক দিক ছাড়াও, ক্বোম প্রদেশে অবস্থিত ফোর্দো পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র ইরানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু স্থাপনা। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র বাঙ্কার-বাস্টার বোমা ব্যবহার করে ওই স্থাপনা আঘাত করেছে। যদিও ইরান তা আংশিক স্বীকার করে জানিয়েছে—কেন্দ্রটি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়নি এবং এখনো সচল রয়েছে।

ইরানের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে—পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ তাদের সার্বভৌম অধিকার এবং কোনো হুমকি, নিষেধাজ্ঞা কিংবা আগ্রাসন তাদের সেই অধিকার থেকে সরাতে পারবে না।