ঢাকা ১০:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রাণ হারালেন ৫০০ মানুষ, ইসরায়েলি সেনার স্বীকারোক্তি: “এটা ছিল হত্যাযজ্ঞের মাঠ”

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১০:২৩:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
  • ৫৬৮ বার পড়া হয়েছে

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় গাজার মানুষের জন্য চালু হওয়া বিতর্কিত ‘গাজা মানবিক ফাউন্ডেশন’ কার্যক্রমে নিহত হয়েছেন প্রায় ৫০০ ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন ৪ হাজারেরও বেশি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এসব মানুষ সবাই ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।

ইসরায়েলি সেনাদের বক্তব্যে উঠে এসেছে এই ত্রাণকেন্দ্রগুলোতে পরিকল্পিত সহিংসতা ও নির্বিচারে মানুষ হত্যার চিত্র। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ‘হারেৎজ’-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সেনা জানান, ত্রাণ নিতে আসা সাধারণ মানুষকে শত্রু হিসেবে দেখা হতো, আর তাদের দমন করতে কোনো নন-লেথাল অস্ত্র নয়, বরং সরাসরি গুলি, মেশিন গান, গ্রেনেড লঞ্চার ও কামান ব্যবহার করা হতো।

একজন সেনা বলেন,

“এটা ছিল একেবারে হত্যাযজ্ঞের মাঠ। আমি যেখানে মোতায়েন ছিলাম, সেখানে প্রতিদিন এক থেকে পাঁচজনকে হত্যা করা হয়েছে। এসব মানুষ কোনোভাবেই আমাদের জন্য ঝুঁকির কারণ ছিল না। তারা কেবল খাবারের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিল।”

তিনি আরও জানান,

“আমরা কাঁদানে গ্যাস, জলকামান—এই ধরনের ভিড় নিয়ন্ত্রণের কোনো উপায় ব্যবহার করিনি। গুলি ছিল আমাদের একমাত্র যোগাযোগের ভাষা।”

তার ভাষ্য অনুযায়ী, ত্রাণের আশায় ভোরবেলা লাইনে দাঁড়ানো মানুষদেরও কয়েকশ মিটার দূর থেকে গুলি করা হতো, আবার অনেক সময় একেবারে কাছ থেকেও গুলি চালানো হতো। তবু তিনি জোর দিয়ে বলেন,

“আমি যতদূর জানি, ত্রাণ নিতে আসা কারও কাছে কোনো অস্ত্র ছিল না। কেউ গুলি ছোড়েনি। সেখানে কোনো যুদ্ধ চলছিল না—সেখানে ছিল শুধু ক্ষুধার্ত মানুষ।”

জনপ্রিয় সংবাদ

ভোটে অনিয়মে পুরো আসনের নির্বাচন বাতিলের ক্ষমতা ফেরত চায় ইসি

গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রাণ হারালেন ৫০০ মানুষ, ইসরায়েলি সেনার স্বীকারোক্তি: “এটা ছিল হত্যাযজ্ঞের মাঠ”

আপডেট সময় ১০:২৩:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় গাজার মানুষের জন্য চালু হওয়া বিতর্কিত ‘গাজা মানবিক ফাউন্ডেশন’ কার্যক্রমে নিহত হয়েছেন প্রায় ৫০০ ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন ৪ হাজারেরও বেশি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এসব মানুষ সবাই ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।

ইসরায়েলি সেনাদের বক্তব্যে উঠে এসেছে এই ত্রাণকেন্দ্রগুলোতে পরিকল্পিত সহিংসতা ও নির্বিচারে মানুষ হত্যার চিত্র। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ‘হারেৎজ’-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সেনা জানান, ত্রাণ নিতে আসা সাধারণ মানুষকে শত্রু হিসেবে দেখা হতো, আর তাদের দমন করতে কোনো নন-লেথাল অস্ত্র নয়, বরং সরাসরি গুলি, মেশিন গান, গ্রেনেড লঞ্চার ও কামান ব্যবহার করা হতো।

একজন সেনা বলেন,

“এটা ছিল একেবারে হত্যাযজ্ঞের মাঠ। আমি যেখানে মোতায়েন ছিলাম, সেখানে প্রতিদিন এক থেকে পাঁচজনকে হত্যা করা হয়েছে। এসব মানুষ কোনোভাবেই আমাদের জন্য ঝুঁকির কারণ ছিল না। তারা কেবল খাবারের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিল।”

তিনি আরও জানান,

“আমরা কাঁদানে গ্যাস, জলকামান—এই ধরনের ভিড় নিয়ন্ত্রণের কোনো উপায় ব্যবহার করিনি। গুলি ছিল আমাদের একমাত্র যোগাযোগের ভাষা।”

তার ভাষ্য অনুযায়ী, ত্রাণের আশায় ভোরবেলা লাইনে দাঁড়ানো মানুষদেরও কয়েকশ মিটার দূর থেকে গুলি করা হতো, আবার অনেক সময় একেবারে কাছ থেকেও গুলি চালানো হতো। তবু তিনি জোর দিয়ে বলেন,

“আমি যতদূর জানি, ত্রাণ নিতে আসা কারও কাছে কোনো অস্ত্র ছিল না। কেউ গুলি ছোড়েনি। সেখানে কোনো যুদ্ধ চলছিল না—সেখানে ছিল শুধু ক্ষুধার্ত মানুষ।”