ইসরায়েল প্রথমবারের মতো আল-আকসা প্রাঙ্গণে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের গান ও নৃত্য করার অনুমতি দিয়েছে। শুক্রবার (২৭ জুন) আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গাভির এই অনুমতি দিয়েছেন। দেশটির ডানপন্থি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ৭ জানায়, বহু বছর পর এই প্রথম ইহুদি দর্শনার্থীদের পবিত্র আল-আকসা প্রাঙ্গণে উন্মুক্তভাবে গান ও নাচের অনুমতি দেওয়া হলো। এর পাশাপাশি, ইসরায়েলি পুলিশকে পুরো প্রাঙ্গণজুড়ে ইহুদি প্রার্থনা ও সংগীত চর্চার অনুমতি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।
চ্যানেল ৭-এর খবরে আরও বলা হয়, তিন সপ্তাহ আগে বেন গাভির তার কার্যালয়ে আল-আকসায় ইহুদি প্রবেশাধিকার দাবিকারী সংগঠনগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকেই প্রাঙ্গণে সংগীত চর্চার অনুমতি বৃদ্ধির প্রস্তাব তোলা হয়। বেন গাভির বলেন, “আমার নীতি হলো প্রাঙ্গণের সর্বত্র গান গাওয়ার অনুমতি দেওয়া।”
এর আগেও চলতি বছরের মে মাসে ইহুদিদের জন্য আল-আকসায় প্রার্থনার অনুমতি দিয়েছিলেন বেন গাভির। তিনি বলেছিলেন, “এখন থেকে ইহুদিরা আল-আকসায় সেজদা দেওয়াসহ সব ধরনের প্রার্থনা করতে পারবে।”
উল্লেখ্য, আল-আকসা মসজিদ মুসলমানদের জন্য তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। ঐতিহাসিকভাবে এটি কেবল মুসলমানদের নামাজ ও ইবাদতের জন্যই ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর ইসরায়েল জেরুজালেম ও আল-আকসা দখল করে নেয়। যদিও এখনো জর্ডানের ওয়াকফ বোর্ড এই প্রাঙ্গণের প্রশাসনিক তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
এ পর্যন্ত একটি চুক্তির আওতায় ইহুদি দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকার থাকলেও প্রার্থনা ও ধর্মীয় কার্যকলাপে অংশগ্রহণ ছিল নিষিদ্ধ। ইসরায়েলের এই সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে ঐতিহ্যগত ‘স্থিতাবস্থা চুক্তি’ লঙ্ঘনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, যা নতুন করে উত্তেজনার আশঙ্কা বাড়িয়েছে।