ঢাকা ১২:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাতিসংঘে ইরান স্পষ্ট করল: পরমাণু সমৃদ্ধকরণ ‘অখণ্ড অধিকার’, কখনওই বন্ধ হবে না

জাতিসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির-সাঈদ ইরাভানি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, তাদের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি কখনওই বন্ধ হবে না। তার ভাষায়, “এটি আমাদের একটি অখণ্ড অধিকার—শান্তিপূর্ণ জ্বালানির প্রয়োজনে এটি আন্তর্জাতিক আইনেই অনুমোদিত।”

এক সাক্ষাৎকারে ইরাভানি বলেন, পরমাণু অস্ত্রবিস্তাররোধ চুক্তি (NPT)-এর আওতায় তারা যে সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম চালাচ্ছে, তা পুরোপুরি বৈধ। পাশাপাশি তিনি জোর দিয়ে বলেন, “নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ কোনো আলোচনা নয়—বরং এটি অন্যের নীতি আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার কৌশল।”

তবে আলোচনার দরজা পুরোপুরি বন্ধ করেননি ইরানি দূত। তিনি জানান, তেহরান আলোচনায় আগ্রহী, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তা বাস্তবসম্মত নয়। তাঁর দাবি, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনার জন্য কোনো অনুরোধও এখন পর্যন্ত আসেনি।

জাতিসংঘে দেওয়া বক্তব্যে ইরান আরও দাবি করেছে, আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (IAEA)-র মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি বা সংস্থার পরিদর্শকদের বিরুদ্ধে তাদের সরকারের পক্ষ থেকে কোনও হুমকি নেই।

তবে বাস্তবচিত্র বলছে, বর্তমানে আইএইএ-র পরিদর্শকেরা ইরানে থাকলেও, তাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোয় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এ নিয়ে কিছু ইরানি কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন, এসব পরিদর্শক ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার পক্ষে ‘যৌক্তিকতা তৈরি’ করছেন।

বস্তুত, ইরানের এই বক্তব্য আবারও ইঙ্গিত দেয়, পরমাণু ইস্যুতে দেশটি আপসের পথে যাচ্ছে না, বরং নিজেদের অধিকার নিয়ে আগের চেয়ে আরও দৃঢ়ভাবে অবস্থান নিচ্ছে।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

জনপ্রিয় সংবাদ

স্বৈরাচার পতনে যাতে ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয় সেই কাজ করছি: প্রধান উপদেষ্টা

জাতিসংঘে ইরান স্পষ্ট করল: পরমাণু সমৃদ্ধকরণ ‘অখণ্ড অধিকার’, কখনওই বন্ধ হবে না

আপডেট সময় ০৮:১২:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

জাতিসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির-সাঈদ ইরাভানি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, তাদের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি কখনওই বন্ধ হবে না। তার ভাষায়, “এটি আমাদের একটি অখণ্ড অধিকার—শান্তিপূর্ণ জ্বালানির প্রয়োজনে এটি আন্তর্জাতিক আইনেই অনুমোদিত।”

এক সাক্ষাৎকারে ইরাভানি বলেন, পরমাণু অস্ত্রবিস্তাররোধ চুক্তি (NPT)-এর আওতায় তারা যে সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম চালাচ্ছে, তা পুরোপুরি বৈধ। পাশাপাশি তিনি জোর দিয়ে বলেন, “নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ কোনো আলোচনা নয়—বরং এটি অন্যের নীতি আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার কৌশল।”

তবে আলোচনার দরজা পুরোপুরি বন্ধ করেননি ইরানি দূত। তিনি জানান, তেহরান আলোচনায় আগ্রহী, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তা বাস্তবসম্মত নয়। তাঁর দাবি, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনার জন্য কোনো অনুরোধও এখন পর্যন্ত আসেনি।

জাতিসংঘে দেওয়া বক্তব্যে ইরান আরও দাবি করেছে, আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (IAEA)-র মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি বা সংস্থার পরিদর্শকদের বিরুদ্ধে তাদের সরকারের পক্ষ থেকে কোনও হুমকি নেই।

তবে বাস্তবচিত্র বলছে, বর্তমানে আইএইএ-র পরিদর্শকেরা ইরানে থাকলেও, তাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোয় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এ নিয়ে কিছু ইরানি কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন, এসব পরিদর্শক ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার পক্ষে ‘যৌক্তিকতা তৈরি’ করছেন।

বস্তুত, ইরানের এই বক্তব্য আবারও ইঙ্গিত দেয়, পরমাণু ইস্যুতে দেশটি আপসের পথে যাচ্ছে না, বরং নিজেদের অধিকার নিয়ে আগের চেয়ে আরও দৃঢ়ভাবে অবস্থান নিচ্ছে।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান